রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বিয়ের দাবিতে বরিশালের গৌরনদীতে প্রেমিকের বাড়িতে তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা এক যুবতী (১৮) অনশন করে আসছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা দিকে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের দক্ষিণ ধানডোবা গ্রামের খলিল মোল্লার বাড়িতে এ অনশণ শুরু করেছে ওই যুবতী (প্রেকাকা)।
অনশনকারী একই উপজেলার ধুরিয়াইল গ্রামের ওই প্রেমিকা (যুবতী) অভিযোগ করে বলেন, গত ২ বছর পূর্বে আমার সঙ্গে দক্ষিণ ধানডোবা গ্রামের খলিল মোল্লার ছেলে ইমরান মোল্লার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এ সুবাদে একমাস পর ইমরান মোল্লা আমাকে ঢাকায় নিয়ে একটি এনজিওতে চাকরি দেয়। গত ৬মাস পূর্বে বেড়ানোর কথা বলে ইমরান ঢাকার কুড়িল বিম্ব রোড এলাকার তার (ইমরান) ভাড়াটিয়া বাসায় আমাকে নিয়ে যায়।
সেখানে বসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার আমাকে ধর্ষণ করে ইমরান। এরপর বিয়ের জন্য চাপ র্সৃষ্টি করলে গত ৪ মাস পূর্বে ইমরান আমাকে তার (ইমরান) ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে রাখে।
এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায়ই রাতেই আমার সাথে দৈহিক মেলামেশা করতো। এতে আমি তিন মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ইমরান আমাকে ভাড়াটিয়া বাসায় রেখে ঈদের ৩দিন আগে গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ ধানডোবায় চলে আসে।
এরপর থেকে ইমরান আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তাই বিয়ের দাবিতে ও পেটের (অন্তঃসত্ত্বা) সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের জন্য আমি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে প্রেমিক ইমরান মোল্লার বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেছি।
এ ঘটনার পর থেকে ইমরানের মা ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা গা-ঢাকা দিয়েছে।
ইমরানের মা রাজিয়া বেগম জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও কয়েকজন সাংবাদিক আমাদের বাড়িতে এসেছিল। তারা ওই মেয়েকে বাড়ি চলে যেতে বলেও মেয়ে এখনও আমাদের বাড়িতে অবস্থান করছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার বিকালে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত ইমরাম মোল্লার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তার মা রাজিয়া বেগম ফোন রিসিভ করে বলেন ইমরান মোল্লা বাসায় নেই।
গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply