রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
উজিরপুরে সুদের টাকার বিনিময়ে জমি লিখে নিয়ে বৃদ্ধাকে ঘড় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উজিরপুরের পৌরসভায় বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুধর্ষ চুরি  বরিশালের বাবুগঞ্জে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের ২ জনকে কু*পিয়ে ও পিটিয়ে জ*খম পটুয়াখালীতে কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা লেবার ফান্ডের কোটি টাকা আত্মসাত  গোপালগঞ্জের পাইককান্দি প্রতিবন্ধী শান্ত, পরিবারের প্রতারণার হাতিয়ার – এ অভিযোগে ভুক্তভোগীর সাভারে শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্য প্রস্তুত ১৮৮টি মণ্ডপ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ৮০ নারী পেলেন হার পাওয়ার প্রকল্পের ল্যাপটপ দুমকিতে ইলিশ সংরক্ষণও অভিযান উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভা শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে পটুয়াখালীতে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল’র গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত উজিরপুরে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগে এনজিওর মালিক সজলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
অভাবের সাথে যুদ্ধ করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দু.চিন্তায় মেধাবী সাব্বির ও তার বাবা-মা

অভাবের সাথে যুদ্ধ করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দু.চিন্তায় মেধাবী সাব্বির ও তার বাবা-মা

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ দারিদ্রতা দমিয়ে রাখতে পারেনি বরিশাল জেলার উজিরপুরের রমজান খান সাব্বিরকে। ছোটবেলা থেকে অভাবের সাথে যুদ্ধ করে মেধা দিয়ে জয় করেছে মেডিকেলে ভর্তি। কৃষক বাবার ছেলে সাব্বির মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরনে এখন বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে অর্থ।

ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছে তার বাবা।

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দামোদরকাঠি গ্রামের কৃষক ফিরোজ খানের ছেলে।

সাব্বির জানান, ভর্তি পরীক্ষায় ৬৭.৭৫ নম্বর পেয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছেন।

বোনের উপহার পাওয়া ডিজিটাল শুমারী ট্যাব দিয়ে অনলাইনে পড়াশুনা করে একবারেই সুযোগ পেয়েছে মেডিকেলে।

সাব্বির বলেন, কোন প্রাইভেট পড়ার মতো সুযোগ ছিলো না। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার কোন বইও কিনতে পারেননি।

অনলাইন ও ইউটিউব থেকে টিউশন নিয়ে অংশ নিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষায়।

নবম শ্রেনীতে যখন বিজ্ঞান বিষয় নেন, তখন থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন জানিয়ে সাব্বির,

বাবা সব সময় বলছেন যত কষ্ট হোক স্বপ্ন পুরনে সহায়তা করবেন।

বাবার এ আশ্বাসে নিজের লক্ষ্য ঠিক করেন চিকিৎসক হবে।

সেই লক্ষ্য পূরনে উজিরপুরের এইচএম ইনষ্টিউট থেকে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

পরে ভর্তি হয় সরকারী গৌরনদী কলেজে। এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ ৫ পেয়েছেন।

সাব্বিরের বাবা ফিরোজ খান জানান, আল্লাহর রহমতে সাব্বির পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

কীভাবে ছেলেকে ভর্তি করবো আর পড়ালেখার খরচ বহন নিয়েও চিন্তায় রয়েছি।

ঋন করে ভর্তি করানোর চেষ্টা করার কথা জানান তিনি। সাব্বিরের মা সাহিদা বেগম জানান, স্বামী কৃষি কাজ করে।

যখন টাকা থাকে তখন গামছা বিক্রির ব্যবসা করেন। এ দিয়ে চলতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।

ছেলেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মেডিকেলে ভর্তি করা নিয়ে চিন্তায় আছি।

সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন সাব্বিরের মা-বাবা।

সংবাদ টি ভালোলাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Categories