বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
উজিরপুরে সুদের টাকার বিনিময়ে জমি লিখে নিয়ে বৃদ্ধাকে ঘড় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উজিরপুরের পৌরসভায় বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুধর্ষ চুরি  বরিশালের বাবুগঞ্জে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের ২ জনকে কু*পিয়ে ও পিটিয়ে জ*খম পটুয়াখালীতে কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা লেবার ফান্ডের কোটি টাকা আত্মসাত  গোপালগঞ্জের পাইককান্দি প্রতিবন্ধী শান্ত, পরিবারের প্রতারণার হাতিয়ার – এ অভিযোগে ভুক্তভোগীর সাভারে শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্য প্রস্তুত ১৮৮টি মণ্ডপ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ৮০ নারী পেলেন হার পাওয়ার প্রকল্পের ল্যাপটপ দুমকিতে ইলিশ সংরক্ষণও অভিযান উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভা শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে পটুয়াখালীতে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল’র গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত উজিরপুরে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগে এনজিওর মালিক সজলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
উজিরপুরের সাতলায় অক্সিজেনের অভাবে মরছে ঘেরের মাছ, বিষ প্রয়োগের অপব্যাখা

উজিরপুরের সাতলায় অক্সিজেনের অভাবে মরছে ঘেরের মাছ, বিষ প্রয়োগের অপব্যাখা

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ উজিরপুর উপজেলার সাতলায় অক্সিজেনের অভাবে মরছে ঘেরের মাছ বিষ প্রয়োগের নামে ভূল ব্যাখা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে অসাধুরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৮ মার্চ রাতে আচমকা ঝড় শুরু হয়।

এতে উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড পশ্চিম সাতলা গ্রামের গোলাম কিবরিয়া হাওলাদারের মাছের ঘেরের অনেক মাছ অক্সিজেনের অভাবে মরে যায়।

এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ইদ্রিস হাওলাদার ও রুবেল বালী।

উল্লেখ্য ১৬ মার্চ সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের নির্দেশে আসাদ বাহিনী রাতের আঁধারে তান্ডব চালিয়ে কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে,

প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

১৭ মার্চ বেলা ১১ টায় পশ্চিম সাতলা গ্রামে ভুক্তভোগী সাবেক ইউপি সদস্য রুবেল বালী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইদ্রিস হাওলাদারের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শাহাদাত বালী, সেলিম বালী, রুবেল হাওলাদার,

গিয়াস মিয়া,ইসাহাক বালী,হাফিজুর মিয়া,মাফিজুল বালিসহ শত শত নারী-পুরুষ।

উল্লেখ্য ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টায় রুবেল বালী,ইদ্রিস বালীসহ একাধিক ভূমি মালিক তাদের নিজস্ব অর্থায়নে নিজেদের ভোগদখলীয় জমিতে চলাচলের রাস্তা নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করলে ওই এলাকার আসাদ হাওলাদার,

সোহেল হাওলাদার, ইলিয়াস হাওলাদার, মুফাত হাওলাদার,

খলিল হাওলাদার, শাওন ভট্রি,কাইয়ুম ভট্রি,ফেরদৌস হাওলাদার,কিবরিয়া হাওলাদারসহ অজ্ঞাত ভারাটিয়া সন্ত্রাসী মিলে দেশীয় অস্ত্র সাজে সজ্জিত হয়ে মোহড়া দেয় এবং রাস্তা নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয় এবং অতর্কিত হামলা চালিয়ে রুবেল বালীসহ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে।

হামলার ঘটনায় উল্লেখ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী রুবেল বালী বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ২০।

সে মামলার প্রধান আসামী আসাদ হাওলাদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে বরিশাল জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

আসামী আসাদ হাওলাদার বেশ কিছুদিন হাজতবাস করে জামিনে এসে ফের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি অব্যাহত রেখেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ মার্চ রাতে আসাদ বাহিনী রুবেল বালীর বসতবাড়ি ও মাছের ঘেরে তান্ডব চালিয়ে কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।

এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

এসময় ভুক্তভোগী রুবেল বালী,ইদ্রিস হাওলাদারসহ বিক্ষুব্ধরা বলেন,ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন হাওলাদারের হুকুমে চিন্হিত সন্ত্রাসী আসাদ বাহিনীরা হামলা চালায় এবং আমাদের রাস্তা নির্মাণের জন্য ব্যবহ্রত ড্রেজারের ৪টি মেশিন, ট্রলারের ১টি মেশিন, জেনারেটরের ২ টি মেশিন, সেচ পাম্প ২ টিসহ ১১ টি মেশিন আগুন দিয়ে সম্পুর্ন পুড়ে ফেলেছে এবং মজুদ রাখা মুরগীর খাবার শতাধিক বস্তা মাছের ঘেরে ফেলেছে এবং কয়েক হাজার ফুট পাইপ কেটে ফেলেছে ওই সন্ত্রাসীরা।

এতে করে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ মরে যায়। এছাড়াও মুরগীর ফার্মে ও বসতঘর কুপিয়ে তছনছ করে আসাদ বাহিনী।

প্রায় কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে সন্ত্রাসীরা। ওই হামলার ঘটনায় রুবেল বালী বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

সে মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে চেয়ারম্যানসহ সকল আসামিরা।

এছাড়া নিজেদের অপকর্ম ও হামলার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য অক্সিজেনের অভাবে মাছ মরার বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে আসামি পক্ষরা।

অভিযুক্ত আসাদ হাওলাদার পালিয়ে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

রুবেল বালী জানান মুলত ভূমিদস্যু ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার ক্ষমতার দাপটে জোরপূর্বক মাছের ঘের করার মিশন ব্যর্থ হয়ে বেপরোয়া হয়ে তার বাহিনী নিয়ে একের পর এক তান্ডব চালায়।

তাকে অচিরেই আইনের আওতায় আনা উচিৎ। এদিকে চেয়ারম্যান বাহিনী ও কৃষকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করেছে সাতলাবাসী।

সংবাদ টি ভালোলাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Categories