রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
উজিরপুর প্রতিনিধিঃ স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়ে কীটনাশক পান করা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।শনিবার সন্ধ্যায় শেরে বাংলা মেডিক্যেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটদিনপর তার মৃত্যু হয়।
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের ডাবেরকুল গ্রামের দশম শ্রেণী পড়ুয়া সুরভীকে আত্মহত্যার প্রচারিত করে প্রতিনিয়ত মানসিক ভাবে চাপ দেয় তার প্রাইভেট শিক্ষক ও দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
তারা শুধু প্ররোচনা দেয় নাই বরং তারা ওই স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে কীটনাশক কিনে দেন। ভিডিওতে এমনই কথা বলা শিক্ষার্থী সুরভীকে বলতে শোনা গেছে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক রাইসুল ও তার সহপাঠী আরেফিন ও মিমের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থী সুরভী ডাবেরকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এসএসসি পরীক্ষার্থী।এসএসসি দশম শ্রেণীর নির্বাচনী পরিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি ডাবেরকুল মল্লিক বাড়ির সুলতানের মেয়ে।তবে সুরভী তার মামা বাড়ি থেকে পড়াশোনা করে।
গত ২৪ অক্টোবর বৃহাস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী সুরভী কীটনাশক সেবন করার পর রাত ১২টার সময় বমি করেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি তার প্রাইভেট শিক্ষক দুই বান্ধবীর কথা মত কারো কাছে এই কীটনাশক সেবন করার কথা কি বলেননি।
এক পর্যায়ে যখন ওই ইস্কুল পড়ুয়া ছাত্রী বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তিনি তার সাধনদের কে জানান এরপরে তারা শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বজনদের এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিক কে বলেন যে এই রোগীর দুটি কিডনি হার লিভার ৯০% ডেমেজ হয়ে গেছে।
একে বাঁচানোর দুরস্কর। বর্তমানে শিক্ষার্থী শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ০২নভেম্বর সন্ধ্যায় মারা যায়।
স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী সাংবাদিকদেরকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন আমাকে ভুল বুঝিয়ে আমার প্রাইভেট শিক্ষক রাইসুল ও আমার দুই বান্ধবী আরেফিন ও মিম তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য আমাকে কীটনাশক কিনে দেন এবং ইহা পান করে আত্মহত্যা করতে বলেন তারা কিভাবে আমাকে বুঝিয়েছে আমি জানিনা আমি তাদের কথামতো কীটনাশক পান করি এবং অসুস্থ হওয়ার পরেও কারো কাছে বলি না কিন্তু চারদিন পর যখন আমি বেশি অসুস্থ হই তখন আমার স্বজনদেরকে এইসব কথা বলে দেই আমি যদি মারা যাই তার জন্য আমার প্রাইভেট শিক্ষক আমার ওই দুই বান্ধবী তাই তিনি তাদের নাম ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট করে বলেন।
উক্ত ঘটনার বিষয় সরো জমিনে অনুসন্ধান করতে গিয়ে ঘটনা সত্যতা পাওয়া যায়।
এবং এ বিষয়ে স্থানীয় অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে আসলেই ওই প্রাইভেট শিক্ষক কোন স্কুলের মাস্টার নন তার স্ত্রী একটি স্কুলের ল্যাব এস সিস্টেম তিনি স্কুল থেকে মেয়েদেরকে সংগ্রহ করে দেন যা ঐ প্রাইভেট শিক্ষক বাসায় বসে প্রাইভেট পড়ান এছাড়াও এই প্রাইভেট শিক্ষক একাধিকবার বিভিন্ন বিতর্কে কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে ছিলেন।
স্থানীয় লোকের এই প্রাইভেট শিক্ষককে এহেনো মর্মান্ত ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন । তবে সসরেজমিনে দেখা যায় এই শিক্ষক অনেক রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ায়।
স্থায়ী অনুসন্ধান আরও বেরিয়ে আসে ওই স্কুল পরুয়া শিক্ষার্থীর দুই বান্ধবী তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড হাসিল করার জন্যই এই শিক্ষার্থীকে কীটনাশক পানের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন এবং আত্মহত্যার প্রশ্ন দেন যাহা সম্পন্ন আইন পরিপন্থী।
উক্ত স্কুল পড়ুয়ার ছাত্রী স্বজনরা বলেন যদি এই ছাত্রী মারা যায় তাহলে যেহেতু তার বয়স ১৮ বছরের নিচে তাই আমরা আত্মহত্যা প্ররোচনার দায়ী করে প্রাইভেট শিক্ষক ও ওই দুই বান্ধবীরবিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ আইন অনুসারে থানা অথবা বিজ্ঞ আদালতের কাছে দ্বারস্থ হব।
সুরভীর আত্নহত্যার প্রচারণার বিষয়ে জানতে চাইলে রাইসুল জানান আমি কোন স্কুলের শিক্ষক নই আমি এখনো মাস্টার্স পড়াশোনা করি।আর এই ছাত্রী আমার স্ত্রীর আমার স্ত্রী অসুস্থ তাই আমি এখন প্রাইভেট পড়াই।আর বিরুদ্ধে যা বলেছে তা সব মিথ্যা আমি কোন প্রকার তাকে আত্নহত্যা করার জন্য প্ররোচিত করি নাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আব্দুল সালাম বলেন আমার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করে নাই।
যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ জনপদ
Leave a Reply