বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর পৌরসভার ৮৬ নং রসুলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.খবির উদ্দীন হাওলাদার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত বুধবার এ অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন নিয়ম বহি:ভুত একক সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিটি গঠন করেছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরেও গোপনে নতুন কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির বিষয়টি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকগন অবগত ছিল না।
গত ১৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের জাতীয় পতাকা বিদ্যালয়ের শৌচাগার পাশে ফেলে রাখেন। স্থানীয় অভিভাবক সদস্যরা দেখেন এবং কাউন্সিলর খবির উদ্দিন হাওলাদারকে খবর দেন।
তিনি এসে স্থানীয় অভিভাবক সদস্যদের নিয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে খবর দেন। উক্ত প্রধান শিক্ষিকা স্থানীয় হাওয়ায়। উক্ত বিদ্যালয়ের কাউকে তোয়াক্কা করেন না।
তার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্যত্র বিদ্যালয় চলে যান। স্কুলের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে উন্নয়ন কাজের নামে প্রায় লক্ষ্য টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই মৃধা জানান, আমি সর্বসম্মত ও নির্বাচিত সভাপতি বহাল থাকা অবস্থায় স্কুল পরিচালনা কমিটিকে না জানিয়ে সবার অগোচরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নির্বাচন করেছেন।
অভিভাবক সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন
জানান, সভাপতির নাম স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের তহবিলের উন্নয়ন ফান্ডের টাকা ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষিকা।
এলাকার অভিভাবকমহল দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ দাতা কাউন্সিলর মো.খবির উদ্দীন হাওলাদার বলেন, অভিভাবক সদস্যরা আমার কাছে বলেন।
তারই ভিত্তিতে আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার বলেন, মূল সমস্যাটা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিয়ে।
১৬ ডিসেম্বরের পতাকার বিষয়ে আমার জানা নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে ।
Leave a Reply