শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন
উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুরে দুই শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মেম্বারের সহায়তায় পুলিশ ম্যানেজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে নাবালক শিক্ষার্থীর পিতার মোবাইল ফোনে পুলিশ টাকার বিনিময়ে পুলিশ ম্যানেজ করার কথোপকথনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
সুত্রে জানা যায় উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের দক্ষিণ মোড়াকাঠি গ্রামের মোঃ মিল্টন সরদারের ছেলে এসএসসি
প্রথম বর্ষের ছাত্র রুবেল সরদার নাটোর জেলার মিতু খাতুন (১৬) এর সাথে ১ বছর ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এরপর ১০ দিন পূর্বে ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে ভাগিয়ে এনে নোটারী বিয়ের নামে বাল্য বিয়ে করে।
সে ঘটনা্য় রুবেল সরদারের মা বিলকিস খানম সাংবাদিকদের বলেন, ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ
জহিরুল হক সুমনের অনুমতি নিয়েই বাল্য বিয়ে পড়ানো হয়েছে এবং তাদেরকে মেনে নেয়া হয়েছে।
এদিকে বাল্য বিয়ের ঘটনায় সাংবাদিকরা বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে।
এরপর উজিরপুর মডেল থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন।
এ ব্যপারে ছাত্র রুবেল সরদারের পিতা মোঃ মিল্টন সরদার তার বন্ধু লাল মিয়ার মোবাইল ফোনে বলেন,এখন আর কেউ কিছুই করতে পারবেনা।
আমি নিজেই সুমন মেম্বারের সহায়তায় থানায় গিয়ে পুলিশকে ২ হাজার টাকা দিয়ে আসছি।
এ কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
মেম্বারের সহায়তায় টাকার বিনিময়ে পুলিশ ম্যানেজের ঘটনায় বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাই।
কিন্তু বাড়িতে কাউকে পাইনি। পরে মেম্বার সুমনের মোবাইল ফোনে বাল্য বিয়ের বিষয়টি জানাই।
মিল্টন সরদার জানান, এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কোন কথা বলা যাবে না।
ইউপি সদস্য মোঃ জহিরুল হক সুমন জানান, বাল্য বিয়ের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
Leave a Reply