শুক্রবার, ২০ Jun ২০২৫, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন করেছেন খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্ঠা উজিরপুরে ৬৩ বছর বয়সী নারীর লাশ উদ্ধার কুয়াকাটায় ৬২ হাজার টাকাসহ ৫ জুয়ারি আটক বিএনপির অফিসে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসরত হোসেন কচি তালুকদারের পক্ষ থেকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোঃ সুমন সরদার ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাসুদ খান বানারীপাড়ায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আওতায় কৃষকদের পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত  বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার বৈধ মেয়র দাবি করে আদালতে মামলা কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফারদের কর্ম বিরতি প্রত্যাহার বানারীপাড়ার চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

উজিরপুরে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গরীব অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৮ কেজি থেকে ৯ কেজি করে চাল দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 

চাল কম দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গরীব অসহায় দুস্থ উপকারভোগীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সরেজমিনে উজিরপুর উপজেলার ১ নং সাতলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব অসহায় দুস্থ মানুষদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে চাল বিতরণের কথা থাকলেও সেখানে দেখা মেলেনি কোনও ট্যাগ অফিসারের।

শুধু তাই নয়, অফিস সহায়ক মোঃ রফিকুল নামে একজনকে অঘোষিত ট্যাগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার সুমন চৌধুরী।

নিজেকে ট্যাগ অফিসার দাবী করা অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম বলেন এখানে প্রতি জনকে ৯ কেজি ৭ শত গ্রাম চাল দেয়া হচ্ছে।

 

একনকি কাটাতে চাল ওজন করে দেয়ার পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের বালতিতে করে।

এদিকে চাল পাওয়া কয়েকজনের চাল পুনরায় কাটায় ওজন করে সেগুলো ৮ কেজি থেকে ৯ কেজি করে পাওয়া যায়।

পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তাদের বালতির চাল ওজন করে ৯ কেজি  ৬শ’ গ্রাম করে পাওয়া যায়।

 

চাল পাওয়া একাধিক ব্যক্তি বলেন, আজ মঙ্গলবার কার্ডের চাল ইউনিয়ন পরিষদে তুলতে আসি।

পরে চাল তুলে বাইরে ওজন করে দেখি ১০ কেজি করে দেয়ার কথা থাকলেও ৯ কেজি করে ২ জনের সর্বমোট ১৮ কেজি চাল হয়েছে। তারা চাল ওজন না করে বালতিতে করে চাল দিচ্ছে।

 

চাল পাওয়া একজন বলেন, সরকার আমাদের জন্য ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিচ্ছে আর তারা ৮ কেজি করে চাল দিচ্ছে, আমরা ২ কেজি করে চাল কেন কম নিব আমাদের ১০ কেজি করে চাল বুঝিয়ে দিক।

 

সাতলা ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আমার ইউনিয়নের মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য যে চাল বরাদ্দ পেয়েছি সে অনুযায়ী চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

তবে আমার এখানে চাল কম দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

সংবাদ টি ভালোলাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Categories