বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ জনপদ ডেস্কঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ১১৩ নং দক্ষিন কালীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতেছে স্থানীয় কুচক্রীমহল। কয়েকদিনের ব্যবধানে এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের পাঁয়তারা করেন স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি। সর্বশেষ ২৯ মার্চ সকালে সাবেক কুদ্দুস মেম্বারের নেতৃত্বে স্থানীয় বেশ কয়েক জন মিলে সরকারী স্কুলের জমিতে পাকা ময়দানের কাজ শুরু করে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন কিছুটা দূরে সরে যাওয়ায় জায়গাটি ব্যবহার হচ্ছে না। এই সুযোগ নিয়ে স্থানীয় লোকজন ওই স্থানে থাকা মসজিদের সাথে পাকা ময়দান করেছেন। স্কুল কতৃপক্ষ নিষেধ করলেও শুনছেন না।
কমিটির লোকজন এবং শিক্ষকেরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বরং স্থানীয়দের সহযোগিতা করেছেন এমন অভিযোগ করেন জমি দাতা পরিবারের সদস্যরা।
স্কুলে দাতা পরিবারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগ করে বলেন আমরা উজিরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিনকে জানালে সে কোন রকম কর্নপাত করেনি এমনকি কোন ব্যবস্থাও তাদের বিরুদ্ধে নেয়নি।
উজিরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে সে জানায় কাজ করে এমন কোন তথ্য আমার কাছে নেই।আপনার কাছে যারা তথ্য দেয় তারা কেউ থানায় অভিযোগ করলে আমি পুলিশকে বলে ব্যবস্থা নিতে বলব।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উজিরপুর দক্ষিন কালীহাতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাস্তার অপর পাশে থাকা জমিতে পাইলিং করে ইটের পাকা স্থাপনা দিয়ে ময়দানের কাজ করেতছে শ্রমিকরা।
স্থানীয়রা সত্যতা শিকার করে জানায় এটা সরকারী স্কুলের জমি পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে তাই আমরা পাকা করে নামাজ আদায়ের জন্য ব্যবহার করব।
সকালে সেখানে থাকা সাবেক মেম্বার কুদ্দুস জানান যে আমরা মৌখিক ভাবে প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি,তবে উর্ধতন কতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ভূল করেছি।
বিদ্যালয়ের সকারী প্রধান শিক্ষকা অসুস্থ থাকায় তা বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উজিরপুর উপজেলাধীন ৮০নং দক্ষিন কালীহাতা মৌজায় ৩৭৪৬ নং দলিল মোতাবেক ২৬০ নং খতিয়ানের এস এ দাগ নং ৪১৩,৪৭৫,৪০৭ ও ৪১১ নং ৫৫ শতক জমি আছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় চার দাগে ৫০ শতক জমি দান করেন আজাহার আলী মোল্লা।
ওই জমিতে ১৯৫৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ৫ শতক জমি আরেক জন জোনাব আলি মোল্লা ও বর্তমান সভাপতি সোহরাব রেকডিও ভাবে ৫ শতক দান করলে দক্ষিণ দিকে নতুন ভবন করা হয়েছে। ২৫ শতক জমির ওপর একটি ভবন রয়েছে।
বাকী কিছু জমি নতুন ভবনে উপর পাশে রাস্তার ওপারে মসজিদ সলগ্ন থাকায় স্থানীয় সাবেক কুদ্দুস মেম্বারের নেতৃত্বে ফাকা জমি দখল করে নামাজের জন্য ময়দান করতেছে।
উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাখাওয়াত হোসেন জানান আমি আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানাব কাজ বন্ধ করার জন্য।সরকারী স্কুলের জমিতে কেউ কোন রকম স্থাপনা করতে পারবে না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিগার সুলতানা জানান, সরকারি বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করার কোনো সুযোগ নেই।
দিনদিন স্কুলের জমি কমে যাচ্ছে ,স্কুলের জমি দখল করে কোন প্রকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করার সুযোগ নেই।আমি খোজ নিয়ে দেখব আমাদের কোন কর্মকর্তার যদি কাজে অনিয়ম পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি জানিয়েছেন কাল আমি সকালে খোজ নিচ্ছি ।
Leave a Reply