সৈয়দ নাঈম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বরিশাল সদর উপজেলা চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ জিয়াউল করিম। অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে একজন সফল ব্যক্তি ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

তিনি, সাহসের সাথে ইচ্ছাশক্তি কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই মনোনিত পার্থী আলহাজ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ জিয়াউল করিম।

তার নিকটতম পতিদ্বন্দ্বী ভোট পেয়েছেন ৬৮৬৩ ভোট। হাতপাখার পার্থী আলহাজ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ জিয়াউল করিম পেয়েছেন ১০৪১৪ ভোট। তিনি ৩৫৫০ ভোট বেশি পেয়ে হাতপাখা মার্কায় বিজয় অর্জন করেছেন।

এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।

তার সাথে দলের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হয়েছে। ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত সৎ ও সময়নিষ্ঠ সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মাঝে কোনো অহংকার নেই। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয়। কাজ করছেন হাতপাখা প্রতীকের। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য।

এই সফল মানুষটি দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান। এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। সকল দু:খ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়।

ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে সাধারণ জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান হিসেবে সবশ্রেনীর মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন।

চরমোনাই চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ জিয়াউল করিম ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে আছেন, সকল শ্রেণি পেশার মানুষের ভালবাসায় তিনি আজ সফল একজন ইউপি চেয়ারম্যান।

মেধা,কর্ম প্রয়াস শ্রম ও অধ্যাবশায়ের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে গড়েছেন পরিশীলিতভাবে এক উজ্জ্বল অধ্যায়ে। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট বেলা থেকেই একজন সহজ-সরল-সৎ মনের অধিকারী ও মেধাবী মানুষ। যার ফলে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।

চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে পরিষদের সর্বস্তরে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ তাকে একজন মানবদরদী ও মহতী মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে।

তিনি এ পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়ন, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, সংস্কার করে গরীব দু:খী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, জেলে চাল সঠিকভাবে বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়মিত অফিস করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে পরিবার পরিজনের কথা না ভেবে তার প্রিয় ইউনিয়নের জন্য দিন রাত নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে চলেছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবদানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে করেছেন যা এখনও চলমান আছে।

আগামী দিনে সৈয়দ মোঃ জিয়াউল করিম সততা ও কর্মদক্ষতার সাথে ইউনিয়নে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ইউনিয়নবাসীকে আধুনিক মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন এমনটাই প্রত্যাশা ইউনিয়নবাসীসহ সকলের।

আরও জানা যায়, ইউনিয়নের ধারা অব্যাহত রাখায় কিছুকিছু অসাধু লোকজন তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্যদিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। যা কোনোমতেই কাম্য নয়। এসকল মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ জিয়াউল করিম।