বেলাল হোসেন সিকদার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা এবং অবৈধ দখলদার ও চাঁদাবাজি বন্ধ করায় প্রশংসা অর্জন করেছেন স্থানীয় জনগণ এবং টুরিস্টদের কাছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কলাপাড়া। স্থানীয় জনগণরা বলেন ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তারাও যেন এই ধরনের ভালো কাজকে সাধুবাদ জানায়।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এই ধরনের ভালো কাজ যেন আগামীতেও অব্যাহত থাকে সেই দাবী জানান টুরিস্ট ও স্থানীয়রা। পক্ষান্তরে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম এর ভাল কাজ যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বার্থন্বেষী একটি কুচক্রী মহলের কাছে।

তাই একটি স্বার্থন্বেষী কুচক্রী মহল ও অবৈধ দখলদার, চাঁদাবাজরা চালাচ্ছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। কলাপাড়া উপজেলার স্থানীয় জনগণ ও টুরিস্টরা কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক কলাপাড়ার বিরুদ্ধে মনগড়া অপপ্রচার প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানান প্রতিবেদককে।

টুরিস্ট ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা প্রতিবেদককে বলেন এই ধরনের সুশৃঙ্খলা আমরা পূর্বে কোনদিন কুয়াকাটায়

দেখি নাই যদি এই ধরনের সুশৃঙ্খলা অব্যাহত থাকে তাহলে ভবিষ্যতে আরো টুরিস্টরা সাগর কন্যা কুয়াকাটায় আসার আগ্রহ প্রকাশ করবে।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার সৎ নির্ভীক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক কলাপাড়া মোঃ রবিউল ইসলাম যোগদান করার পর থেকেই দক্ষিণ বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী সমুদ্র সৈকত সাগর কন্যা কুয়াকাটায় অবৈধ দখলবাজদের

হাত থেকে সরকারি জমি উদ্ধার করা এবং সাগর কন্যা কুয়াকাটার সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা কলাপাড়া

পৌরসভায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করাই তার মূল লক্ষ্য হওয়ায় যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে কলাপাড়া পৌর এলাকা ও কুয়াকাটার একটি অবৈধ স্বার্থনীশি কুচক্রী মহলের কাছে।

কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলাপাড়া পৌর প্রশাসকের কাজে প্রশংসা করেছেন কলাপাড়া পৌর এলাকার জনগন ও কুয়াকাটার আগত টুরিস্ট সহ কুয়াকাটার সকল জনগন।

স্থানীয় সচেতন মহাল থেকে কয়েকজনে বলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে কুয়াকাটার একটি

অবৈধ স্বার্থন্বেষী মহল ও ফ্যাসিস্ট অনুসারী দোসরা বিভিন্নভাবে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদেরকে ভুল বুঝিয়ে সংবাদ প্রকাশ করান।

যেই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের শিরোনাম হলো কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বেচ্ছাচারিতা ও পৌর মেয়রের দায়িত্ব পেয়ে উন্নয়নের নামে লক্ষ লক্ষ আত্মসাৎ করায় এলাকাবাসীর ক্ষোপ।

কলাপাড়া উপজেলায় ও সাগরকন্যা কুয়াকাটায় সর জমিনে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক কলাপাড়া মোঃ রবিউল ইসলাম যোগদান করার পর থেকেই তার সততা ও দক্ষতার মাধ্যমে ভালো কাজ করায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষের এবং সচেতন মহল ও টুরিস্টদের ব্যাপক প্রশংসার অর্জন করেছেন।

প্রতিবেদক এর কাছে স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোঃ রবিউল ইসলাম আমাদের উপজেলার দায়িত্ব পাওয়ার পরে কলাপাড়া পৌরসভায় এবং কুয়াকাটায় সুশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন এবং উন্নয়নমূলক কাজে অনেক অগ্রগতি আমরা দেখতেছি এবং যারা উন্নয়নমূলক কাজ করতেছেন সেই কাজও মানসম্মত হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।

এ ছাড়াও তিনি আরো অনেক ভালো ভালো কাজ করেছেন যার কারণে আমাদের কাছে তিনি একজন ভালো প্রশংসা নিও কর্মকর্তা। এ ধরনের ভালো অফিসার প্রশাসনে থাকলে বাংলাদেশ আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে উন্নয়নের শিখরে যা আমরা মনে করি।

কিন্তু স্বার্থন্বেষী একটি কুচক্রী মহলের অবৈধ বাণিজ্যে আঘাত লাগায় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক কলাপাড়ার ভাল কাজেকে আড়াল করে স্বার্থন্বেষী কুচক্রী মহল অবৈধ স্বার্থ অর্জনের জন্য অপপ্রচারে লিপ্ত হন এই সৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

তথ্যসূত্রে আরো জানা যায়, কুয়াকাটা সি বিচ থেকে পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও স্থানান্তর করে সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

উচ্ছেদ অভিযান ও নিয়মিত অভিযানে কুয়াকাটা সি বিচ সংলগ্ন প্রায় একশ কোটি টাকা মূল্যমানের খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

কুয়াকাটায় পর্যটক আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে জাতীয় মান বজায় রেখে সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে এবং নতুন নতুন স্পট চিহ্নিত করতে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন।

সাগরকন্যা কুয়াকাটার সি বিচ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিয়মিত করা হচ্ছে এবং কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের এর দীর্ঘদিনের অন্ধকার দূর করতে ২০টি সোলার স্টিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে।বলে জানা যায় তথ্যসূত্রে।

বিগত দিনে উপরোক্ত এইরকম কর্মকাণ্ড কেউ করতে পারেনি এবং করার চেষ্টাও করেননি বলে জানান স্থানীয়রা।

তাই স্থানীয়রা বলেন আসলেই রবিউল স্যার একজন প্রশংসা ও ধন্যবাদ পাওয়ার মত কর্মকর্তা। যা তার কর্মের মাধ্যমেই আমরা দেখেছি। অবৈধ দখলদারের হাত থেকে প্রায় একশ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।

স্থানীয়রা জোর দাবী জানান উদ্ধারকৃত সম্পত্তি যাতে আর অবৈধ দখলদাররা দখল না করতে পারে সেজন্য ঊর্ধতম প্রশাসন কর্তৃপক্ষ যেন সুদৃষ্টি দেন। দখলদাররা অবৈধভাবে আর দখল না করতে পারলে সাগরকন্যা কুয়াকাটা হবে টুরিস্টদের জন্য একটি মনোরম পরিবেশের সমুদ্র সৈকত।

কলাপাড়া পৌর এলাকা ও কুয়াকাটায় শত কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার ও উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রবিউল ইসলাম বলেন আমি দায়িত্ব পাওয়ার পরে সততার সাথে কলাপাড়া পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজ করার শতভাগ চেষ্টা করি এবং কাজ যাতে মানসম্মত হয় সেদিকে সুদৃষ্টি রাখি।

সেই সাথে তিনি আরো বলেন আমি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হওয়ার পরে সাগর কন্যা কুয়াকাটা থেকে প্রায় শত কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি এবং কুয়াকাটায় সকল আইন-শৃঙ্খলা সহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করি। তিনি আরো বলেন আমার সকল কর্মকান্ড ঊর্ধ্যতম কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই পরিচালনা করি।

তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সে ব্যাপারে আপনি কি বলবেন তখন তিনি বলেন ভালো কাজের সমালোচনা হবেই যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে তারাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার সাংবাদিক ভাইদেরকে ভুল বুঝিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হলো সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট তাই সেই অপপ্রচার সম্পর্কে আমার কিছু বলার নাই। তবে আমার উপর সরকারি অর্পিত দায়িত্ব আমি সঠিকভাবে শতভাগ সততার সাথে পালন করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

কুয়াকাটা সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে কুয়াকাটার পৌর প্রশাসক ও কুয়াকাটার এসিল্যান্ড বলেন আমি আমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের নেতৃত্বে কুয়াকাটায় কাজ করতেছি আমরা প্রায় শত কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করতে সক্ষম হই অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে। আমরা চাই কুয়াকাটায় পর্যটকরা আসলে যেন তারা মনোরম পরিবেশে ও স্বাচ্ছন্দতার সাথে কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত উপভ করতে পারে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারি খাস জমি দখল করার জন্য সরকারি দায়িত্ব পালন করেছে এজন্য কারো ক্ষতি হওয়ার কারণে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাতে পারেন। আমরা কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে যে দায়িত্ব দিয়েছি তিনি সেই দায়িত্ব পালন করছে। আপনারা যেটা তদান্তে পান সেভাবেই সংবাদ প্রকাশ করেন ধন্যবাদ।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রায়হান কাউসার বলেন সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা সৌন্দর্য বর্ধনে যেসব কাজ করা দরকার সেসব কাজ করতে হবে এজন্য যদি কারো ক্ষতি হয় সেজন্য কিছু করার নাই। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আমরা যে দায়িত্ব দিয়েছি তিনি সেই দায়িত্বই পালন করেছে। তার দায়িত্বে যদি কোন অবহেলা থাকে সেটা আমরা দেখব আর যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে সেটাও আমরা দেখব। আপনারা সঠিক তথ্যই জাতির কাছে তুলে ধরবেন।

বাংলাদেশ জনপদ