রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
ববি প্রতিনিধিঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বরিশালের নার্সিং কলেজ,
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে।
সকাল থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তাদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ছাত্রলীগের সাথে কয়েক দফায় পাল্টাপালি হামলা চলে।
এতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী,পুলিশ ও ছাত্রলীগ সহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
আহত শিক্ষার্থীদের সদর হাসপাতাল ও শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এদিকে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরাও বরিশালের প্রাণকেন্দ্র সাগরদীতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।
গতকাল শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের উপর হামলা করার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো বরিশাল।
১৬ জুলাই মঙ্গলবারে বেলা ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল ও রাত ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখবেন বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
গতকাল তিনঘন্টা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তাঁরা।এসময় রাস্তায় মাগরিবের নামাজ আদায় করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান।
বরিশাল পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জিসান জানান,আমরা সকালে বরিশালের চৌমাথা অবরোধ করে রেখেছিলাম।
বিকালে আমরা এসেছি নতুল্লাবাদ ব্রজমোহন কলেজ সহ অন্যান্যদের সাথে সড়ক অবরোধে যোগ দিতে।আমাদের অধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরছি না।
বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হুজাইফা জানান, ছাত্রলীগের হামলায় প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
এতে পুলিশও আহত হয়েছেন।বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আমরা কিছু শিক্ষার্থী বরিশালের নতুল্লাবাদ ও কলেজের সামনে অবস্থান করছি।
আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হাসিব জানান,আমরা দীর্ঘদিন সরকারের ওপরে আস্থা রেখে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলাম। গতদুদিন আমরা দেখতে পেলাম আমার ভাই ও বোনের উপর হামলা করে রক্তাক্ত করা হয়েছে।আমরা তারই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে রাস্তায় নেমেছি।আমাদের দাবি ও হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজয় শুভ জানান, ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে।আমাদের ভাইদের রক্তাক্ত করা হয়েছে।এমনকি অনেক মেয়েদের উপরও হামলা করা হয়।সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধিকার আদায় করতে এসে যদি এমন রক্তাক্ত হয়,তাহলে এর দ্বায়ভার কার? আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কেন ব্যাঘাত ঘটালো।সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হোক।নাহলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
Leave a Reply