রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সানভিউ প্রপার্টিস লিমিটেড এর চেয়ারম্যান জহিরুল হকের স্বাক্ষর জাল করে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন সম্পত্তি বিক্রি করে ১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা সম্পূর্ণরূপে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে
প্রোপার্টির চেয়ারম্যান জহিরুল হক এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সানভিউ প্রপার্টিজ লিমিটেড ২০১০ সাল থেকে ডেভেলপমেন্ট ব্যবসা কুয়াকাটা সম্প্রসারণ এর কার্যক্রমের লক্ষ্যে হোটেল নির্মাণের জন্য লতাচাপলি মৌজায় ৩৬.৮০ শতাংশ ও ৪১ শতাংশ জমি ক্রয় করি।
সে সময় কোম্পানির চেয়ারম্যান ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জামান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন হাফিজুর রহমান রাহাত।
২০১২ সালে কোম্পানির চেয়ারম্যান হন হাফিজুর রহমান রাহাত এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পান মোঃ জহিরুল হক।
এসময় কোম্পানির অন্যতম শেয়ার হোল্ডার আসলাম আহমেদ ও মোশারফ হোসেন কোম্পানি শেয়ার হোল্ডার ছেড়ে দিয়ে টাকা উত্তোলনের আবেদন করেন এবং কোন প্রকার লাভ লোকসানের ঝুঁকি না নিয়ে মূল টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আমাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করে।
কোম্পানির ফান্ডে টাকা না থাকায় আমি মোট জমি থেকে আসলাম আহমেদকে ৩৫ লক্ষ টাকার বিপরীতে ১০ শতাংশ এবং মোশারফ হোসেন কে ২০ লক্ষ টাকার বিপরীতে ৫.৭১ শতাংশ জমি লিখে দেই।
কোম্পানির মেমোরনডম থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে অতঃপর কয়েকজন পাওনাদার তাদের পাওনা দাবি করলে একইভাবে তাদের পাওনা অংশ হিসেবে জমি লিখিয়ে দেওয়া হয়।
আসলাম আহমেদ উক্ত কোম্পানিতে ইন করে সেই সুযোগে মোশারফ হোসেন কোম্পানিতে পুনরায় ইন করে।
আবার নতুন করে কমিটি গঠন করে কোম্পানির চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয় আমাকে জহিরুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন এবং আসলাম আহমেদ ডিএমডি হিসেবে পথ চলা শুরু হয়।
আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যানের সম্মতি ব্যতি রেখে এমডি কোন কাজ করতে পারবেনা যৌথ স্বাক্ষরে সকল কার্যক্রম সম্পাদিত হবে অথচ এমডি তার দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শরু করে, সে মুলত বিগত সরকারের এক সন্ত্রাসী ক্যাডার।
২০২০ সালের যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে আমাকে উক্ত জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে সেদিন থেকে মনের কষ্টে আমি আর এই জায়গায় কখনো প্রবেশ করি নাই।
সে আমার স্বাক্ষর জাল করে বোর্ড মিটিং করে একা একা। আমার অগোচরে কোম্পানির সম্পত্তি বিক্রি করে এক কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা সম্পূর্ণরূপে আত্মসাৎ করে।
বর্তমানে আমি আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগিতায় আমার জায়গাটি আমি দখলমুক্ত করে আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই।
২০২১ সালে এই কোম্পানি ডিএমডি আসলাম হোসেন মৃত্যুবরণ করে এই মৃত্যুর দায় মোশারফ হোসেনের বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন কে মুঠো ফোনে কল দিলে প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে একটু পরে কথা বলতেছি বলে ফোন রেখে দেন।
বাংলাদেশ জনপদ
Leave a Reply