রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
গৌরনদী প্রতিনিধিঃ মঙ্গলবার ২৬মার্চ রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর এলাকার রাস্তার পাশের একটি ঝোপের ভেতর থেকে রক্ত মাখা অবস্থায় সদ্য ভূমিষ্ঠ এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নবজাতকের উদ্ধারকারী পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর গ্রামের ফল বিক্রেতা মোঃ রুবেল জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি পাইকারি ফল কিনতে বাটাজোর বন্দরের ফলের আড়তে যাচ্ছিলেন।
এ সময় বাটাজোর রাবেয়া ফজলে করিম মহিলা কলেজ সংলগ্ন রাস্তার পাশের ঝোপের ভেতরে এক নবজাতকের কান্না শুনতে পান।
প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন হয়তো কুকুর বা বিড়ালের বাচ্চা কান্না করছে। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি আসতেই তিনি বুঝতে পারেন এটি কোন মানুষের বাচ্চার কান্না।
তখন তিনি রাস্তার পাশের ঝোপের ভেতরে উকি দেন। এ সময় তিনি দেখতে পান ঝোপের ভেতরে কাঁথায় মোড়ানো সদ্য ভূমিষ্ঠ একটি নবজাতক কান্না করছে।
তখন তিনি আশপাশের লোকদের ডেকে সেখানে জড়া করেন। একপর্যায় তিনি ত্রিপল নাইনে ফোন দেন।
খবর পেয়ে গৌরনদী মডেল থানার এসআই শেখ শহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ সেখানে উপস্থিত হয়ে নবজাতককে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বলেন, ধারণা করা হচ্ছে নবজাতকটি কারো অবৈধ সন্তান।
তাই ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই তাকে রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। গৌরনদী মডেল থানার এসআই শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, নবজাতকটি একটি কন্যা শিশু।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমি ওই নবজাতককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডাক্তার তৌকির আহমেদ জানান, নবজাতক কন্যা শিশুটির সারা শরীরে রক্তমাখা অবস্থায় পুলিশ আমাদের কাছে নিয়ে আসে।
আমরা তাকে ড্রেসিং করে ও চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলি। এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন,
উদ্ধার করা নবজাতককে পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা বেবি হোমে হস্তান্তরর প্রক্রিয়া চলছে।
বিষয়টির তদন্ত অব্যাহত আছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply