রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
উজিরপুরে সুদের টাকার বিনিময়ে জমি লিখে নিয়ে বৃদ্ধাকে ঘড় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উজিরপুরের পৌরসভায় বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুধর্ষ চুরি  বরিশালের বাবুগঞ্জে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের ২ জনকে কু*পিয়ে ও পিটিয়ে জ*খম পটুয়াখালীতে কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা লেবার ফান্ডের কোটি টাকা আত্মসাত  গোপালগঞ্জের পাইককান্দি প্রতিবন্ধী শান্ত, পরিবারের প্রতারণার হাতিয়ার – এ অভিযোগে ভুক্তভোগীর সাভারে শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্য প্রস্তুত ১৮৮টি মণ্ডপ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ৮০ নারী পেলেন হার পাওয়ার প্রকল্পের ল্যাপটপ দুমকিতে ইলিশ সংরক্ষণও অভিযান উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভা শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে পটুয়াখালীতে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল’র গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত উজিরপুরে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগে এনজিওর মালিক সজলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
ঝালকাঠির কাঠালিয়া সরকারী তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ’র অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠির কাঠালিয়া সরকারী তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ’র অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

মোঃ ইসমাইল হোসেন কাইয়ুম, স্টাফ রিপোর্টারঃ ঝালকাঠির ‘কাঠালিয়া সরকারী তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ’ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন কুমার হালদারের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপ, চাকুরী দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য চাকুরী থেকে বরখাস্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীরা। সোমবার ১৯ আগস্ট বেলা ১২টায় বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্হঠিত য়। অর্ধশত শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত লিখিত পত্রটি সাংবাদিকদের সামনে পাঠ করেন কলেজ ছাত্র নাইম শিকদার। তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন কুমার হালদার অবৈধভাবে গত ৩১/০৮/২০২৩ ইং তারিখে সিনিয়র শিক্ষক বাদ দিয়ে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। যাহা সম্পূর্ণ নিয়ম ও বিধি বহির্ভূত। সম্প্রতি তার (অধ্যক্ষ) বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ডি.জি বরাবর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন সুফল পাইনি। সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর এর ১৬টি অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেন।

 

১. এইচ.এস.সি পরীক্ষা ২০২৪ইং এর ফরম পূরণের বোর্ড ফি ২১শ টাকা। কিন্তু জন প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে (মানবিক, বাণিজ্য) ৫৫শ এবং বিজ্ঞান শাখায় ৬ হাজার টাকা।

২. ডিগ্রি ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণ ও অন্যান্য ফি ১৮শ টাকা। কিন্তু জনপ্রতি নেয়া হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা।

৩. একাদশ শ্রেণীর ২০২৪ইং এর ভর্তি বাবদ বোর্ড ফি সর্বোচ্চ ১৫শ টাকা হলেও নেয়া হয়েছে ৩৪শ টাকা।

৪. একাদশ শ্রেণীর ভর্তি ২০২৪ইং এর ম্যানুয়ালে ভর্তি বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা নেয়া হলেও বোর্ড ফি ১৫শ টাকা।

৫. উন্মুক্ত পরীক্ষা ডিগ্রি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ভর্তি ও ফরম পূরণ বাবদ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি ৩৫শ টাকা হলেও জনপ্রতি নেয়া হয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।

৬. ২০২৩-২৪ইং অর্থ বছরে বিজ্ঞান শাখার বরাদ্ধকৃত যন্ত্রপাতি না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেছে।

৭. অন্য অন্য শাখার ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি, সাবজেক্টের প্রভাষক ছাড়া তার অনুগত শিক্ষক নিয়া দুইবার উত্তলোন করিয়া ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে।

৮. কিছু শিক্ষকদের বকেয়া পাওনা দেওয়ার জন্য ঘুষ দাবি।

৯. টেন্ডার ছাড়া কলেজের জমি অবৈধ দখলদারদের দিয়ে ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

১০. শ্রান্তি বিনোদনের সরকারী অর্থ দেওয়ার কথা বলে প্রতি শিক্ষক কর্মচারীর কাছ থেকে নিয়েছে ১৭শ টাকা।

১১. এসিআর ভালো দেওয়ার জন্য কিছু শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করেছে।

১২. ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি দেয়া বাবদ শত শত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২২০ টাকা থেকে শুরু করে ২/১ হাজার টাকা পর্যন্ত।

১৩. মসজিদ কমিটির আহবায়কের অনুমতি ছাড়া ফান্ডের টাকা উত্তোলন করে ও ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে মসজিদের কাজ না করে প্রায় ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

১৪.৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছে।

১৫. কলেজে আইসিটি শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও নিজ দায়িত্বে পুনরায় নতুন আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ২ লাখ টাকাসহ অন্যান্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

১৬. বর্তমানে কলেজের কোষাগার থেকে রিসিট ও নন রিসিপ্ট নামে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে।

 

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, টাকা দিয়ে চাকুরী না পাওয়া ৩ জন। মোঃ বেল্লাল আকন বলেছেন, কলেজে দপ্তরি পদে চাকুরী পাওয়ার অনুকূলে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন কুমার হালদার কে নগদ ৩ লাখ দিয়েছেন এবং চাকুরি হবার পর ২ লাখ দিবেন। কিন্তু টাকা দিয়ে চাকুরী পাননি। মোসাঃ রোজিনা বেগম বলেন, দপ্তরি পদে তিনিও চাকুরির জন্য দিয়েছেন ২ লাখ হবার পর দিবেন ২ লাখ টাকা। কিন্ত চাকুরি পাননি। মোঃ নাসির হোসেন বলেন, তার ভাইয়ের বউ নাদিরার মাস্টার রুলে চাকুরীর জন্য নগদ দিয়েছেন ৪ লাখ। কথা ছিল ২/১ বছর পর চাকুরী পারমেন্ট হবে। কিন্ত টাকা দিলেও চাকুরী পাননি।

সংবাদ টি ভালোলাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Categories