শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধিঃ বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরআইচা গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মোহাম্মদ মানিক হোসেন হাওলাদার কে তার স্ত্রী ও ছেলে পাগল আখ্যা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন তিনি এখন মানবতার জীবন যাপন করতেছেন।
মানিক হাওলাদার বলেন আমি দীর্ঘ দীর্ঘ ৩০ বছর সৌদিআরবে প্রবাসের জীবন যাপন করে যত টাকা ইনকাম করেছি সব টাকাই আমার স্ত্রী ও ছেলেকে দিয়েছি
আমার স্ত্রীর আমার পূর্বের জীবনের সকল অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করে। আমার স্ত্রী বর্তমানে পরকীয়ায় আসক্ত।
আমি অসুস্থ অবস্থায় তিন মাস পূর্বে বাংলাদেশে আসলে তিনি আমার সাথে প্রতিনিয়ত খারাপ আচরণ করতে থাকে
এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী ও আমার নেশাগ্রস্ত ছেলে মনজুর রহমান সেজান আমাকে ঘর থেকে
পাগল আখ্যা দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে ঘর থেকে বের করে দেয়।
আমার দীর্ঘ ৩০ বছরের প্রবাস জীবনের যত ইনকাম তা আমার স্ত্রী আত্মসাৎ করে
এছাড়াও আমার বসতবাড়ি সহ আমার জমি জায়গার দলিল ও কাগজপত্র স্ত্রী আত্মসাৎ করে রেখেছে।
মানিক হাওলাদার বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগ অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে ছোট বোনের বাসায় আশ্রয় নেয়
এই কথা জানতে পেরে মানিকের স্ত্রী ও ছেলে তার ছোট বোনকে হুমকি-ধুমকি দিচ্ছে।
মানিক জীবনে বাঁচার জন্য বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
মানিকের উপরোক্ত ঘটনার বিষয় মানিকের নিজ বাড়িতে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান মানিক দীর্ঘদিন যাবত বিদেশে ছিল তার
টাকা পয়সা দিয়ে তার বড় ভাইসহ তাদের সকলের সংসার চলতো মানিকের রিন কেউ শোধ করতে পারবেনা আজ মানিকের এমন দুরবস্থা দেখে আমরা হতবাক।
মানিকের আপন বড় ভাইয়ের বউ তিনি জানান মানিকের ছেলে ও মানিক কারো কথা শোনে না তাই এ ফ্যামিলির বিষয়ে আমরা আর কিছু বলতে পারব না।
মানিকের আপন ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বললে তিনি কোন তথ্য দিতে পারবেনা বলে জানান।
বর্তমানে মানিক হাওলাদার তার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে তার চিকিৎসা করতে চান কিন্তু এতে তার ছেলে ও বউ বাধা দেন এবং মানিককে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে মানিক জানান।
মানিক বলেন আমার মৃত্যু হলে আমার ছেলে ওআমার বউ সহ কয়েকজন দায়ী থাকবেন যাদের নাম তিনি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন।
মানিকের ছেলের কাছে উপরোক্ত বিষয় জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন কথা না বলে এড়িয়ে যান এবং তার বাবার বিভিন্ন দোষ ত্রুটির কথা বলেন ।
Leave a Reply