বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কুয়াকাটায় ৬২ হাজার টাকাসহ ৫ জুয়ারি আটক বিএনপির অফিসে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসরত হোসেন কচি তালুকদারের পক্ষ থেকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোঃ সুমন সরদার ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাসুদ খান বানারীপাড়ায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আওতায় কৃষকদের পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত  বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার বৈধ মেয়র দাবি করে আদালতে মামলা কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফারদের কর্ম বিরতি প্রত্যাহার বানারীপাড়ার চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা বরিশালের উজিরপুরে গৃহবধূ নিখোঁজ, উদ্বিগ্ন স্বজনরা গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মীদের সচেতনতা অপরিহার্য — কুয়াকাটায় মতবিনিময় সভায় বক্তারা
নওমালায় খালে পানি না থাকায় শতাধিক কৃষকের হাহাকার

নওমালায় খালে পানি না থাকায় শতাধিক কৃষকের হাহাকার

মোঃ শফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামের শতাধিক কৃষক পানির জন্য হাহাকার করছেন।

১৮ মার্চ সোমবার সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি বটকাজল গ্রামে প্রায় ৪০০ একর জমিতে ইরি ধানের চাষ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে কতিপয় প্রভাবশালী কাশিপুর, বগা ও মহিষাদি এলাকার ৩টি সুইস গেইট নিয়ন্ত্রণ করায় ওই গ্রামে পানির সংকট দেখা দেয়।

পানি না থাকায় নওমালা-বগা খাল শুকিয়ে গেছে। ফলে ইরি ধানের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে যেতে বসেছে।

নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার জালাল আকন বলেন, কয়েক বছর আগে এলজিইডির অর্থায়নে জনগুরুত্বপূর্ণ নওমালা-বগা খালটি খনন করা হয়।

কিন্তু ৩টি স্লইস গেইট নিয়ন্ত্রণ করায় খালটিতে পানির প্রবাহ নেই। ফলে নওমালা, বগা ও দাশপাড়া ইউনিয়নের শত শত মানুষ সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

বিশেষ করে ফসল চাষাবাদের ক্ষেত্রে কৃষকদের মাঝে হাহাকার বিরাজ করে। চলতি মৌসুমে বটকাজল গ্রামে ৪০০ একর জমিতে ইরি ধানের চাষ করা হয়েছে। পানি না থাকায় মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষক মিজান মৃধা, আলাউদ্দিন আকন, অলিউল্লাহ হাওলাদার, আবুল কাজী ও নাসির খলিফা বলেন, ইরি ধানের বীজ রোপণের পর ক্ষেতে প্রচুর পরিমাণ পানির প্রয়োজন হয়।

কিন্তু বর্তমানে বটকাজল গ্রামের খালে পানি না থাকায় কৃষকরা মহাবিপাকে পড়েছেন।

কৃষকদের সুবিধার জন্য অবিলম্বে ৩টি সুইস গেইট খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড. কামাল হোসেন বিশ্বাস বলেন, সুইস গেইট নিয়ন্ত্রণ করে মাছ শিকার করছেন কয়েকজন প্রভাবশালী, আমি বিষয়টি কৃষি কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

তিনি আরো বলেন খালে ভিতরে কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করা দরকার।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাস বলেন, কৃষকদের সুবিধার জন্য কৃষকদের লেখিত আবেদন দিতে বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী বলেন, পানির ব্যবস্থা করতেছি নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে।

সংবাদ টি ভালোলাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Categories