সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন),পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার গ্রাম বাংলার আবহমান ঐতিহ্যবাহী খেজুর রস আহরণে ব্যস্ত সময় পাড় করছে গাছীরা। সকালের ঘন কুয়াশা ভেদ করা ভোরের সূর্যের লাল অভায় আর পাঁখিদের কিচিরমিচির ডাকে উস্ন বিছানার মিতালি ছেড়ে জীবিকা নির্বাহে গাছিনা নেমে পড়ে খেজুর রস আহরণে।
গত ১৫ বছর ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে এঅঞ্চলে খেজুর গাছের সংকট দেখা দিলেও গত তিন চার বছরের তুলনায় এবছর গাছে রস মিলছে আগের তুলনায় বেশ ভাল। কুয়াশা মাখা শীতের ভোরে ও শেষ বিকেলে রস সংগ্রহ করতে দেখা গেছে গ্রাম গঞ্জের গাছিদের। শীত যত বাড়বে রসের স্বাদ তত বাড়বে। গাছিরা তাল পাতার ঢোলা বানিয়ে ভেতরে গাছ কাঁটার দাঁ ’কাচি, ও যাবতীয় সরমন্জাম ভরে কোমড়ের সাথে মোটা রশি বেঁধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনের প্রতিটা মুহুর্ত চসে বেড়ায় এগাছ থেকে ও গাছে।
এভাবেই গত ২০ বছর ধরে গাছ কেঁটে রস সংগ্রহ করাই যেনো তাদের পেশা। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ছেলেকে নিয়ে সারা দিনের পরিশ্রম করে হাঁড়ি ভর্তি রসে যেনো মুখে হাঁসির দেখা মিলছে গাছুদের। স্থানীয়দের চাহিদা পুরন করে রস দিয়ে মিঠা তৈরি করে বিক্রি করছে বিভিন্ন হাট বাজারে।শীতের শুরু থেকে গাছের পরিচর্যা করে এবং পুরো শীত মৌসুমে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন গাছিরা। পাটালি গুড় তৈরি করে বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি করে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে।
জেলার প্রতিটা ইউনিয়নের সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে গাছি ফয়সালুর রহমান বলেন, সে প্রতি বছর খেঁজুর গাছ কেঁটে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আর এতেই অনেক লাভোবান হন। তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর রস দিয়া শীতের চসি পিঠা ও পায়য়াস তৈরি হয় এবং রস দিয়ে সাজের পিঠা বানিয়ে খেতে খুব সুস্বাদু হয়। জীবিকা নির্বাহে হাঁড়ি ভর্তি রসের আয় দিয়েই চলে অনেকের সংসার।
Leave a Reply