শুক্রবার, ২০ Jun ২০২৫, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন করেছেন খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্ঠা উজিরপুরে ৬৩ বছর বয়সী নারীর লাশ উদ্ধার কুয়াকাটায় ৬২ হাজার টাকাসহ ৫ জুয়ারি আটক বিএনপির অফিসে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসরত হোসেন কচি তালুকদারের পক্ষ থেকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোঃ সুমন সরদার ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাসুদ খান বানারীপাড়ায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আওতায় কৃষকদের পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত  বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার বৈধ মেয়র দাবি করে আদালতে মামলা কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফারদের কর্ম বিরতি প্রত্যাহার বানারীপাড়ার চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা ২০ শয্যার হাসপাতাল চিকিৎসক ও অবকাঠামোগত সংকটে

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা ২০ শয্যার হাসপাতাল চিকিৎসক ও অবকাঠামোগত সংকটে

কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর পর্যটন শহর কুয়াকাটার একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চিকিৎসক সংকট, যন্ত্রপাতির অভাব ও অব্যবস্থাপনায় কার্যত ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় রয়েছে।

হাসপাতালে নেই এমবিবিএস চিকিৎসক, কার্যত চালানো হচ্ছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মতো।

ফলে উপকূলের সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবার জন্য ২২ কিলোমিটার দূরে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটতে বাধ্য হচ্ছেন

২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কুয়াকাটা পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে তিন একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় হাসপাতালটি।

গর্ভবতী মায়েদের সেবা, স্বাভাবিক প্রসব ও অস্ত্রোপচার সুবিধার কথা থাকলেও বর্তমানে তা নেই। হাসপাতালের সব শয্যা কার্যত অচল।

সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতাল ভবনের চারপাশে পড়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা।

পাবলিক টয়লেটগুলো ভাঙাচোরা ও নোংরা। চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও হয় না।

আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন, কিন্তু কার্যকর সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়।

হাসপাতালটিতে নেই অস্ত্রোপচারের সুবিধা। জরুরি অপারেশনের জন্য গাইনি সার্জন ও অ্যানেসথেসিস্টের অভাব রয়েছে বলে জানা গেছে।

হাসপাতালে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন একজন কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, পাঁচজন সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং একজন ওয়ার্ড বয়।

মূলত কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবলেট হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে এটি।

হাসপাতালটির গুরুত্বপূর্ণ শূন্যপদগুলোর মধ্যে রয়েছে: জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া), আবাসিক মেডিকেল অফিসার,

মেডিকেল অফিসার, ল্যাব টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট, অফিস সহকারী, ওয়ার্ড বয়, আয়া, দারোয়ান, এমএলএসএস, ঝাড়ুদার এবং কুকসহ মোট ২০টিরও বেশি পদ।

মম্বিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আসমত আলী বলেন, হাসপাতালটি কেবল নামেই আছে, আমাদের কোনো কাজে আসে না।

এখানে এলেই কলাপাড়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আমরা চাই, এখানে যেন সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, সরকারের স্বাস্থ্য খাতে বিপুল অর্থব্যয়ের পরও বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। হাসপাতালটির উন্নয়নে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ খালেদুর রহমান মিয়া বলেন, শুধু কুয়াকাটা নয়, সমগ্র পটুয়াখালী জেলায় ডাক্তারের চরম সংকট রয়েছে।

বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সংকট সমাধান হবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, অনেক রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা

হাসপাতালে সাথে কথা বলে জেনেছি, জনবল ও চিকিৎসক সংকটের কারণে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

লোকবল বৃদ্ধিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো যাতে অতি দ্রুত সংকট কেটে যায়। এবং সেবা প্রত্যাশীরা যাতে সঠিক সেবা পায়।

বাংলাদেশ জনপদ

সংবাদ টি ভালোলাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Categories