রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
তেজগাঁও প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও তিন বছর মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত গোপালগঞ্জে ৭ই ডিসেম্বর মুক্ত দিবস-পালন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা নেলসন ম্যান্ডেলা শান্তি পুরস্কার ২০২৪ এ ভূষিত হয়েছেন জাভেদ নাছিম কুয়াকাটায় টোয়াকের ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন বিসিসি’র সাবেক প্যানেল মেয়র বাদশার ১০ তলা ভবন নিয়ে ২ স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব, মামলা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনায় বরিশালে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ অটোরিক্সা কারখানা বন্ধ ও জরিমানা আদায় পটুয়াখালীর উপকূলে দুর্যোগের আগাম গণসচেতনতামূলক গাম্ভীরা ও নাটক প্রদর্শনী কোম্পানির চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বানারীপাড়ায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সম্পত্তি দখল ও মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর উপর হামলার অভিযোগ
পটুয়াখালীর দুমকিতে পরিকল্পিত ফাঁদে ফেসে গেলেন চেয়ারম্যান মতুর্জা

পটুয়াখালীর দুমকিতে পরিকল্পিত ফাঁদে ফেসে গেলেন চেয়ারম্যান মতুর্জা

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে উপকার করতে গিয়ে পরিকল্পিত ফাঁদে পড়ে হেনস্তার শিকার উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা শুক্কুর।

শনিবার সকালে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জেলেদের মাঝে সরকারি চাল বিতরণের লক্ষ্যে পাতাবুনিয়া সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দিয়ে চাল ছাড়িয়ে জেলেদের অনুরোধে চেয়ারম্যান বাড়ির একটি ঘরে সাড়ে ১৭ টন চাল মজুদ করেন এবং সাথে সাথে চৌকিদার দিয়ে সকল সুবিধাভোগী জেলেদের পরের দিন চাল দেয়া হবে বলে এই মর্মে দাওয়াত দেয়া হয়।

হঠাৎ করে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে চেয়ারম্যান বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জসহ স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মী উপস্থিত হন।

তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্ত করেন এবং কেন চাল পরিষদে না নিয়ে তার বাড়িতে তুলেছেন এবিষয়ে চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করলে চেয়ারম্যান তার প্রশ্নের জবাব দেন এবং সাথে সাথে নিজের ভুল শিকার করে গোলাম মর্তুজা শুক্কুর বলেন, এর আগেও আমি আমার ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের সুবিধার্থে ভিজিডি ও ভিজিএফের চাল আমার বাড়িতে বসে দিয়েছি।

তবে এগুলো পরিষদ ছাড়া অন্য কোথাও দেয়ার আইনত নিয়ম নেই। সম্পূর্ণ বিষয়টি একটি মহল অন্য খাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সুবিধাভোগী জেলে, রাসেলসহ আরো অনেকে বলেন, চেয়ারম্যানকে আমরা অনুরোধ করেছি যে চালগুলো তার বাড়িতে বসে দিলে আমাদের সুবিধা হয় কারণ আঙ্গারিয়া পরিষদ থেকে চাল বাড়ি পর্যন্ত নিতে আমাগো ১/২ শত টাকা খরচ হয়।

এর আগেই তিনি তার বাড়িতে বসে চাল দিয়েছেন। আমাদের মনে হচ্ছে চেয়ারম্যানকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসাতে একটি কুচক্রী মহল সবসময় তার পিছনে লেগে আছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহীন মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনা স্থানে গিয়েছিলাম সেখানে জেলেদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে সাড়ে ১৭ টন চাল পাওয়া গেছে এবং আসলে তার এই চাল নিয়ে অসৎ কোন উদ্দেশ্য নেই তবে আইন নিয়ম হলো চালগুলো পরিষদে নিয়ে জেলেদের মাঝে বিতরণ করা। এবিষয়ে চেয়ারম্যান তার ভুল শিকার করেছেন। চালগুলো জব্দ করা হয়েছে।

সংবাদ টি ভালোলাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Categories