বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন), পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় বাউফল কলেজের শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বাবু মৃধা (ওরফে পিস্তল বাবুকে) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-১০, সদর কোম্পানী, কেরানীগঞ্জ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল।
গত (৬ জুলাই) ২৪ইং তারিখ রোজ শনিবার বিকেল পাঁচটার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপি,
ঢাকার কদমতলী থানাধীন সুফিয়া হাসপাতালের সামনে অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ বাবু মৃধা (৩২) ওরফে পিস্তল বাবুকে গ্রেফতার করা হয়।
খোজ নিয়ে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ৭নং বগা ইউনিয়নের শাপলাখালী গ্রামের মো, মোফাজ্জেল হোসেন মৃধার ছেলে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ধর্ষিতা তরুনী (১৭) একাদশ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী।
ঘটনার দিন গত ১১ জুন সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় ভিকটিম তার কলেজে প্রতিদিনের ন্যায় জান।
কলেজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মামলার ০৩ নং আসামী সোহেল তাকে অটোরিক্সাযোগে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রওনা দেন।
কিন্তু তাকে তার বাড়ির সামনে না নামিয়ে বাড়ির অদূরে জনৈক আমির সিকদারের বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়।
সেখান থেকে ভিকটিম পায়ে হেটে রওনা হলে আসামী বাবু ও তার সহযোগী ২ নং আসামী সুমন তার পিছু নেয় এবং তাকে দাড় করিয়ে তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে এবং পথরোধ করে।
পরবর্তীতে আসামীরা ভিকটিমকে হাত ধরে টেনে নিয়ে জনৈক আমির সিকদারের টিনশেডের একটি ঘরের ভিতর নিয়ে যায়।
আসামীরা উক্ত ঘরে থাকা এক মহিলাকে বের করে দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার ভয় দেখায়।
পরে ১নং আসামী ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ২ নং আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আরোও ২ জন আসামীরা রাস্তা থেকে ৩ নং আসামীকে ডেকে নিয়ে আসে এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে দিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায়।
৩ নং আসামীকে দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করানোর সময় ১ নং আসামী ভিডিও ধারণ করে রাখে এবং উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৩ নং আসামীর নিকট হতে নগদ ৪হাজার ৫শ টাকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
পরবর্তীতে ধর্ষিতা তরুনী বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করে (বাউফল থানার মামলা নং-১৯ তারিখঃ ১৪/০৬/২৪ইং, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(৩)/৩০ ধারা।
বিষয়টি র্যাবের নজরে আসলে র্যাব আত্মগোপনে থাকা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য ব্যাপক ছায়াতদন্ত শুরু করে।
শনিবার র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-১০, সদর কোম্পানী, কেরানীগঞ্জ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ডিএমপি, ঢাকার কদমতলী থানাধীন সুফিয়া হাসপাতালের সামনে অভিযান পরিচালনা করে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এদিকে গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাউফল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যপারে পটুয়াখালী র্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা ঘটনার বরাত দিয়ে জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আমাদের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে ও অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply