বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন
মুনতাসির রাহী, ববি প্রতিনিধিঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ার পর বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ পুরো বরিশালবাসী ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়াকে। উপাচার্যকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করার একটি ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
তাছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী বান্ধব ব্যতিক্রমী নানা কর্মকান্ডের কারণে প্রসংশায় ভাসছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানায়, অধ্যাপক বদরুজ্জামান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার থাকা অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ সকলের মন জয় করেছেন সততা, দক্ষতা, কর্মস্পৃহা ও গতিশীলতার মাধ্যমে।
এছাড়া তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্ব পাওয়ার সময়ই শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ সকল পর্যায়ের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন, তখনই শত-শত ফুলের শুভেচ্ছা পেয়েছিলেন।
তিনি রুটিন দায়িত্ব থাকাকালীন সকলের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন তার নানাবিধ কর্মপ্রয়াসের মাধ্যমে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন উপাচার্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে “সেশনজট” দূরীকরণ করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তিনি ভূতুড়ে ক্যাম্পাসকে দায়িত্ব নেয়ার স্বল্প সময়ের মধ্যে আলোকিত করেছেন।
এছাড়া ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে ময়লা আবর্জনার স্তূপে ভরপুর ছিল যা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতো।
অধ্যাপক বদরুজ্জামান রুটিন দায়িত্ব নেয়ার পর কেন্দ্রীয়ভাবে আবর্জনা ফেলার স্থায়ী বিন করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, তিনি বিভিন্ন সেমিনার আয়োজন করে দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদদের এনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, উপাচার্যের দায়িত্ব পাওয়ার পর তাঁর কার্যালয়ের দরজা খুলে দিয়েছেন সবার জন্য।
এখন কোনো শিক্ষার্থী চাইলেই উপাচার্যের সাথে তার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পেরেছেন।
এছাড়া শিক্ষকদের যেকোনো ন্যায্য দাবি সাথে সাথে পূরণ করে যাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, অগণিত ভালো কাজ উপহার দেয়া ব্যক্তিটি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পায় খুব স্বাভাবিক ভাবেই সকলের মাঝে আগ্রহ উদ্দীপনা হাজার গুণ বেড়ে যায়,
যার ফলস্বরূপ ক্যাম্পাসের সকল পর্যায়ের মানুষজন আনন্দচিত্তে মহান মানুষটিকে বরণ করে নিয়েছেন।
ফুল, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সম্মান কেউ জোর করে নিতে পারেনা। উনি যা পেয়েছেন তা উনার কাজের স্বীকৃতি।
মানুষ ভালোবেসে উনাকে ফুল দিয়েছে, যা নিয়ে নেতিবাচক প্রচণার কোন সুযোগ নেই।
Leave a Reply