বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
মুনতাসির রাহী,ববি প্রতিনিধিঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে সংগঠনের সদস্যদের কাউকে না জানিয়ে বাগেরহাট জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে।বর্তমান কমিটিতে বঞ্চিত এবং পদ পাওয়া অনেকেই এই অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে বলা হয়, এসোসিয়েশনের সকল মেম্বর থাকা একটি ম্যাসেন্জার গ্রুপে বেশ কিছুদিন ধরে ইফতার মাহফিল আয়োজন নিয়ে কথা চলছিলো।
কিন্তু নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে গ্রুপে পূর্বে কোন কথা হয়নি, হঠাৎ রাত ১২ টার দিকে বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারিকে তার বন্ধুরা ফেসবুক পোস্টে অভিনন্দন জানাতে শুরু করে।
পরে সকাল ১১ টার দিকে ম্যাসেন্জার গ্রুপে এই নতুন কমিটি কথা জানানো হয়।
এটা দেখে এসোসিয়েশনের মেম্বররা হতভম্ব হয়ে পড়ে।দেখা যায়, বর্তমান কমিটির প্রথমদিকের প্রায় সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নামধারী একটি অংশের সক্রিয় কর্মী।
পরে এসোসিয়েশনের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে এবং বলেন, আমরা কেউই এই নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে জানতাম না।
হঠাৎ করেই গ্রুপে দেখি এই নতুন কমিটি গঠনের পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
যেখানে শুধু সাবেক সভাপতি, সেক্রেটারি তাদের সাক্ষর দিয়ে কমিটি ঘোষণা করেছে কোন উপদেষ্টার স্বাক্ষর আনা হয়নি।
(উল্লেখ্য এসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে যে,”নতুন কমিটি গঠনে অবশ্যই উপদেষ্টা পরিষদের মতামত গ্রহন করিতে হইবে”)
এছাড়া তারা আরো বলেন, গত কমিটিও স্বাক্ষর জাল সহ বিতর্কিত ভাবে গঠন করা হয়েছিলো।এবং টানা দুই বছর একই ব্যক্তিরা কমিটির স্বীয় পদে স্থায়ী ছিলেন।
যে অভিমানে এসোসিয়েশনের অধিকাংশ মেম্বার বর্তমানে নিস্ক্রিয় আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসোসিয়েশনটির নতুন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ফারহান শাহরিয়ার বলেন, আমরা সকলের সাথে আলোচনা করেই কমিটি দিয়েছি বরং এই আলোচনা করতে যেয়েই কমিটি দিতে দেরি হয়েছে।
এছাড়া আমার সভাপতির সাথে কথা হয়েছে এবং তার নিদের্শনা মাফিক সমন্বয় করেই কমিটি হয়েছে।
সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইরফান আহমেদ রাজ বলেন, আমি বরিশালের বাইরে থাকাই এই কমিটিতে কারা আসছে তার কিছুই আগে থেকে জানতাম না।
পরে কিছু ছোট ভাই আমাকে ফোন দিলে আমি খালি আমার সাক্ষর অনলাইনে পাঠিয়ে ছিলাম। পরে আমার সাথে সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা হয় তার কাছে নাকি ফোন যায় এবং সেও নাকি তার সাক্ষর অনলাইনে পাঠিয়েছিলো।
এছাড়া কমিটি গঠনে উপর থেকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিলো যার ফলে আমি কোনো ঝামেলায় যেতে চাচ্ছিলাম না।
কারণ ক্যাম্পাসে কোন কোরামের প্রভাব থাকলে আসলে আমাদর তা মানতেই হয়। এছাড়া উপদেষ্টা হিসাবে স্যারেরাও এই ঝামেলায় আসতে চাচ্ছিলো না।
এ বিষয়ে সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মিরাজ পারভেজ বলেন, আমাকে কমিটি নিয়ে জানানো হয়ে ছিলো তবে আমি আপাতত এই বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
আমি আমার পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত আছি। তাই এখন আমি কোনো ঝামেলায়ও জড়াতে চাই না।
উল্লেখ্য আজ বরিবার (২৪ মার্চ) এই নতুন কমিটিটি গঠন করে মেসেঞ্জার গ্রুপটিতে পোস্ট করা হয়।
বর্তমান কমিটিতে সভাপতি হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহান শাহরিয়ার ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো: রাকিব হোসাইন এর নাম উল্লেখ করা হয়।
Leave a Reply