সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ জনপদ ডেস্কঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার উজিরপুর পৌরসভায় মেধাবী স্কুল ছাত্রী তামান্নাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বাবা ও ছেলে কে ফরিদপুর থেকে র্যাব-১০ এর সহায়তায় গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮।
১৪ মে হত্যা মামলার আসামি মোঃ তাওহীদ হাওলাদার ও তার বাবা মোঃ সুলতান হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮।
উল্লেখ্য ৩ মে আগরপুর গ্রামের মোঃ আমির ফকিরের মেয়ে তামান্না আক্তারের (৯) গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উজিরপুর পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ সুলতান হাওলাদারের ভবনের ছাদ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
৬ মে সোমবার নিহত শিশু তামান্নাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার মা মোসাঃ তানজিলা বেগম বাদী হয়ে
বরিশাল নারী ও শিশু আদালতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ সুলতান হাওলাদারের ছেলে মোঃ তাওহীদ হাওলাদার (৩০) ও তার বাবা মোঃ সুলতান হাওলাদার(৫০), মা নাজনীন বেগম ও সিমু আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সুত্রে জানা যায় গত ২ মে শিশু তামান্না তার দূরসম্পর্কের খালু অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ সুলতান হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো।
পরের দিন লাশ হয়ে ফিরলো পিত্রালয়ে। পরিবারের দাবি শিশু তামান্নাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
ঘটনার পর থেকে আসামিরা পালিয়ে ছিলো। ১৪ মে ভোরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তাওহীদ হাওলাদার ও তার বাবা সুলতান হাওলাদারকে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮।
আসামীরা সুকৌশলে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিম আত্মহত্যা করেছে বলে ভিকটিমের পরিবারকে ফোন করে জানায়।
উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
ঘটনাটি বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
অদ্য ১৪ মে ২০২৪ ইং তারিখে ভিকটিম শিশু তামান্না আক্তারের পরিবার, স্কুলের সহপাঠী, শিক্ষক, অভিভাবক,
আত্মীয় স্বজন এবং বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীসহ অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার উপস্থিতিতে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আগরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
এদিকে শিশু হত্যা কান্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে নিহত’র পরিবার।
Leave a Reply