রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক। অভিযান পরিচালনা করেন এসআই(নিঃ)/ সুদেব, বিপি-৮৬১৪১৭১৫৪৩, এনআইডি-৫১২৪৩১১৮০৬৭৩৮ সঙ্গীয় এএসআই (নিঃ) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, এএসআই (নিঃ) হাবিবুর রহমান, কং/৫৯৩ জিয়াউল হক সর্ব কর্মস্থল- জেলা গোয়েন্দা শাখা, বরিশাল, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ শাহ আলমণ্ড) আলমগীর (৩৭), পিতা- শহিদুল ইসলাম, মাতা- মনোয়ারা বেগম, সাং- নোয়াপাড়া, খানা- চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লা ও জব্দকৃত আলামত ১৪(চৌদ্ধ) কেজি গাঁজা এবং মাদকদ্রব্য বহনকারী পিকআপ গাড়ি সহ থানায় হাজির হইয়া ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, জেলা গোয়েন্দা শাখা, বরিশাল এর এমসিসি নং- ৮৭০/২৪ এবং জিডি নং-১৫২/২৪, তারিখ-১৯/১১/২০২৪ ইং মূলে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ মোশাররফ হোসেন ও পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) বুটন কুমার বর্মন স্যারদের নেতৃত্বে আমি সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স নিয়া গৌরনদী থানা এলাকায় মাদক উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে গৌরনদী থানাধীন গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থানকালে ইং ১৯/১১/২০২৪ তারিখ অনুমান রাত্র ২১.৪৫ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পারি যে, গৌরনদী থানাধীন ইল্লা গ্রামস্থ মেসার্স মা ফিলিং স্টেশনের উত্তর পাশে নির্মাণাধীন মা হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর সামনের ফাঁকা জায়গায় কতিপয় ব্যক্তি একটি পিকআপ গাড়ি নিয়া মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করিতেছে।
উক্ত সংবাদের বিষয়ে তাৎক্ষনিক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া সংবাদের সত্যতা যাচাই এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ সরকারী মাইক্রোবাস যোগে ইং- ১৯/১১/২০২৪ তারিখ রাত্র ১০.০৫ ঘটিকার সময় উল্লিখিত ঘটনাস্থলে পৌঁছাইলে ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পাইয়া সেখানে দাঁড়ানো অবস্থায় একটি পিকআপ গাড়ি যাহার রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো-ন- ১৪-২১৩৭ এর মধ্যে হইতে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় উক্ত ব্যক্তিকে ধৃত করি এবং সাথে থাকা অজ্ঞাত নামা ০২ (দুই) জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ধৃত ব্যক্তিকে তাহার নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে জানায় যে, উক্ত পিকআপ গাড়িতে করে সে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অপেক্ষা করিতেছিল এবং অজ্ঞাতানামা আসামীদের নাম ঠিকানা ধৃত আসামী জানে না মর্মে জানায়।
অতঃপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষী-১। মোঃ শাকিল সরদার (২৫), পিতা- অফেল সরদার, সাং- খাঞ্জাপুর, মোবা- ০১৭৮৬১৩৮২৭৮, ২। মোঃ রুবেল ঘরামী (২৪), পিতা- শাহজাহান ঘরামী, সাং- বাগিশের পাড়, মোবা-০১৭৯০৪২০৩৭৬, উভয় থানা- গৌরনদী, জেলা- বরিশাল সহ আরো অনেকের উপস্থিতিতে ধৃত আসামী উক্ত পিকআপ গাড়ির পিছনের ডালা বেজ দিয়ে নাট খুলে সেখানে বিশেষভাবে তৈরিকৃত চেম্বারের মধ্যে হইতে আসামীর নিজ হাতে বাহির করিয়া দেওয়া মতে খাকি রংয়ের কস্টেপ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় ০৭(সাত)টি গাঁজার পোটলা উদ্ধার করি।
উদ্ধারকৃত আলামত আমাদের সাথে থাকা নিক্তি যন্ত্র দ্বারা পরিমাপ করি যাহার প্রতিটি পোটলার ওজন ০২ (দুই) কেজি করে মোট (৭২২)=১৪ (চৌদ্দ) কেজি গাঁজা যাহার প্রতি কেজি গাঁজার মূল্য অনুমান ৪০,০০০ (চল্লিশ) হাজার টাকা করে যাহার মোট (১৪x৪০০০০) মূল্য অনুমান ৫,৬০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ ষাট হাজার) টাকা।
ইহছাড়াও মাদকদ্রব্য বহন কারী পিকআপ গাড়ি যাহার রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো-ন-১৪-২১৩৭, যাহার ইঞ্জিন নং-2751D105KQZSB4633, চেসিস নং-MAT4450519VR42388 এবং ডালা খুলার কাজে ব্যবহৃত একটি রেঞ্জ উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বৈদ্যুতিক বাল্ব এবং আমাদের সাথে থাকা টর্চের পর্যাপ্ত আলোতে ইং ১৯/১১/২০২৪ তারিখ রাত্র ২২.৩০ ঘটিকার সময়ে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করি।
জব্দ তালিকায় উল্লেখিত সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহন করি এবং আমি নিজেও স্বাক্ষর করি। জব্দকৃত আলামত ও ধৃত আসামীকে সতর্কতার সহিত হেফাজতে নেই। প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে ধৃত আসামী জানায় যে, সে কুমিল্লা জেলা থেকে মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বরিশাল জেলার বিভিন্ন খানা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত পরিবহন করিয়া আসিতেছে বলিয়া স্বীকার করে।
ধৃত আসামী এবং অজ্ঞাতানামা ০২(দুই) জন পলাতক আসামী অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখিয়া ও বিক্রয়ের কাজে সহায়তা করিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) এর সারণী ১৯(খ)/৪১ ধারায় অপরাধ করিয়াছে।
ধৃত আসামীকে নিয়া আরো মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করিয়া ও পলাতক আসামীদ্বয়কে গ্রেফতারের চেষ্টা শেষে থানায় হাজির হইয়া এজাহার দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল।
অতএব, ধৃত আসামী ও অজ্ঞাতানামা পলাতক আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে উল্লেখিত ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করিয়া আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে আপনার সদয় মর্জি হয়।
বাংলাদেশ জনপদ
Leave a Reply