মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ জনপদ ডেস্কঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের বাসিন্দা নিমাই হালদার এর স্ত্রী পুজা ঘরামি ১৯ নামের এক গৃহবধূ বিয়ের দুই বছর পরে নিজ ইচ্ছায় পালালেন পরকীয়া প্রেমিকের সাথে। গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এই গৃহবধু।
৯ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালতে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন উক্ত গৃহবধুর মা রানী ঘরামি। যাহার মামলা নং ১২৮/২০২৪। মামলায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয় আসামিরা হলেন তাপস হালদার ২৫, পিতা গৌতম হাওলাদার, নিমাই বিশ্বাস ২৬, পিতা সুকুমার বিশ্বাস।
সংবাদকর্মীদের অনুসন্ধানে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিগত দুই বছর পূর্বে এক নং আসামি তাপস হাওলাদার এর সাথে তার আত্মীয়র মাধ্যমে মাধবপাশায় পূজারানির নিজ বাড়িতে বসে পরিচয় হয় , ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ তথ্য পূজার মা বাবা টের পেয়ে পূজাকে ক্লাস নাইনে পড়া অবস্থায় অপ্রাপ্তবয়সে উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নের নিমাই হালদারের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ দিয়ে দেন। কিন্তু পূজা ঘরামি তার স্বামীকে কোন অবস্থায় গ্রহণ করতে পারেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে পূজা ঘরামি একাধিকবার তার স্বামীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে পালিয়ে আসে। এমনকি পরক্রিয়া জের ধরে নিমাই হাওলাদার পূজা রানীর ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল পরপর ভেঙে ফেলে এবং তাকে শারীরিক নির্যাতনও করে। যা একাধিকবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়,পূজা তার বাবার বাড়িতে যতদিন বেড়াতে এসেছেন ততবারই পূজা ঘরামির মা রানি ঘরামি তাকে জোর করে স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন। কিন্তু কখনোই পূজা স্বইচ্ছায় যেতে চাইতেন না।
সূত্রে আরও জানা যায়, পূজা ঘরামীর সাথে আরো একাধিক ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল এবং ঘটনার কিছুদিন আগে হঠাৎ পূজা গরামি আসামি তাপস হাওলাদারকে কল দিয়ে বলেন, আমি নিমাই হালদারের সাথে আর থাকতে চাই না, আমি তোমার কাছে চলে আসতে চাই।তখন তাপস হালদার বলেন এটা কি করে সম্ভব,তোমার এখন বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তুমি সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করো। পূজা ঘরামী আর এসব কথায় কোন কর্ণপাত না করে একাধিকবার ফোন দিয়ে ছলেবলে কলেকৌশলে তাপসকে রাজি করাতে সক্ষম হন পূজা। সাক্ষাৎকারে তাপস বলেন,জীবনে একবারই দেখেছি পূজা আমার কাছে আসেনি এবং সে পূজার বিষয় কিছু জানেন না যাহার ভিডিও বক্তব্য রয়েছে এই প্রতিবেদকের হাতে।
সংবাদকর্মীরা আরো তথ্য জানতে, পূজা বাড়িতে গেলে পূজা ঘরামির বাবা সৌরভ ঘরামী বুদ্ধদেব বলেন,আমার মেয়ে যে কাজটা করেছেন তাহা গুরুতর অন্যায়, আমার জামাই নিমাই খুব ভালো মানুষ,তিনি আরো বলেন শুনেছি পূজা যে ছেলেটার সাথে গিয়েছে,সেই ছেলের কথা এবং তার ফ্যামিলির সম্পর্কে আমরা কিছুই জানতাম না। সংবাদকর্মীরে উপস্থিতিতে টের পেয়ে পুজার মা সাথি রানি ঘরামী তার ছোট বোনের স্বামী মামুন কে সাথে নিয়ে সাক্ষাৎকার না দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মামুনের মুঠো ফোনে কল দিলে মামুন বলেন, পূজা রানীর মা আদালতে মামলা করেছেন এটার বিচার আইন আদালত করবে,আপনারা সাংবাদিক আপনাদের কোন তথ্য আমরা দেব না।
পূজার স্বামী নিমাইকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন এটা আমাদের পারিবারিক ব্যাপার,অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের মামলার হুমকিও দেন তিনি।
উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আলমগীর হোসেন বলেন,আদালতে মামলা হয়েছে আমরা মামলার কপি পেয়েছি,তদন্ত চলমান আছে। তিনি আরো বলেন,পূজা রানীকে তার প্রেমিক ঢাকা নিয়ে কোন একটি হোটেলে রেখে চার দিন যাবত একসাথে থেকেছেন।
এ ব্যাপারে আসামি তাপসের পরিবারসহ এলাকাবাসী বলেন, উক্ত ঘটনার সময় তাপস নিজ এলাকা ও নিজ বাড়িতেই ছিল কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এরকম তথ্য প্রমাণাদি সাংবাদিকদের হাতে আমরা পৌঁছেছি। ভুক্তভোগী তাপসের বড় বোন ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন আমার ভাই সম্পূর্ণ নির্দোষ। একটি কুচক্রিমহল পুজার স্বামী ও খালু মামুনের সাংগপাঙ্গ নিয়ে আমার ভাইকে ফাঁসাতে উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি আরো বলেন ২১ এপ্রিল মেয়েকে বোরখা পরিয়ে তাপস কে ফাঁসানোর জন্য মামুন বরিশাল শিশু পার্কের সামনে নিয়ে আসেন। আইনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ বাংলাদেশের সুশীল সমাজের কাছে তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার চান তাপসের পরিবার।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এএস আই আসাদ বলেন,তদন্তে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি,তাপস উক্ত ঘটনা দিন ও তারিখ তাপস তার নিজ বাড়িতেই ছিল।
তথ্যের জন্য উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাফর আহমেদ এর কাছে গেলে তিনি বলেন,তদন্ত করে আমরা প্রকৃত যে দোষী তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Leave a Reply