সোমবার, ১৪ Jul ২০২৫, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ জনপদ ডেস্কঃ দেশব্যাপী আর্টিসানাল বা স্থানীয় ছোট নৌযান ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে “আর্টিসানাল নৌযান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা ২০২৩–২০৩২”—এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ২ মে ২০২৪ তারিখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করে এবং বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় স্থানীয় পর্যায়ের বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়।
২০ জুন শুক্রবার সকাল ১০.৩০মিনিটে বরিশালের কাশিপুর মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের অডিটোরিয়ামে আর্টিসানাল নৌযান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা ২০২৩–২০৩২ অনুষ্ঠিত হয়।
এই সময়ে বরিশাল জেলার বিভিন্ন জেলে ও বোট মালিক উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জামাল হোসেনের সঞ্চালনে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল
বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আলফাজ উদ্দীন শেখ, সভাপতিত্ব করেন বরিশাল বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী পরিচালক বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সমীর কুমার বসাকসহ বরিশাল উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা বৃন্দ।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি মোঃ আলফাজ উদ্দীন শেখ বলেন “ছোট নৌযানে মৎস্য আহরণে জড়িত লাখো
জেলের নিরাপত্তা, জীবিকা এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় এই পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“সমুদ্রের রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও জানান, কর্মপরিকল্পনার অধীনে জেলেদের নিবন্ধন,
নিরাপদ নৌযান চলাচল, বিকল্প জীবিকা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে বরিশাল বিভাগে পর্যায়ের সচেতনতা সভা, নিবন্ধন কার্যক্রম এবং কো—ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উপ-প্রকল্প পরিচালক, সাসটেইনেবল কোষ্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট, বরিশাল বিভাগ,
এস, এম, আজহারুল ইসলাম বলেন আর্টিসানাল নৌযান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা ২০২৩–২০৩২ সকল ছোট
মৎস্য নৌযান রেজিষ্ট্রেশনের আওয়াতায় আনা হবে যাতে করে সকল মৎস্যজীবীরা সরকারী তালিকায় লিপিবদ্ধ
থাকে সরাসরি সরকার তাদের মৎস্য আহরণ নজরদারী ও অবৈধ জেলেরদের শনাক্ত করতে পারে।
রেজিষ্ট্রোশনের আওয়াতায় সবাইকে জিপিএস সুবিধার আওয়াতায় আনা হয়ে তাদের মনিটরিং করার জন্য।
বরিশালে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন “আর্টিসানাল নৌযানকে আইনের
আওতায় এনে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবস্থাপনা করলে উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য রক্ষা সম্ভব।
”আমারা আগামী ২০২৮ সালের ভিতর শতভাগ আর্টিসানাল নৌযানকে রেজিস্ট্রোশনের আওয়াতায় আনার
পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।আমরা গত বছর ৩০% আর্টিসানাল নৌযানকে রেজিস্ট্রোশনের আওয়াতায়
এনেছি চলিতি বছরে ১৫% কে রেজিস্ট্রোশনের আনার কার্যক্রম পরিচালনা চলতেছে।
বাংলাদেশ জনপদ
Leave a Reply