রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ জনপদ ডেস্কঃ বরিশালের ০৭নং চরকাউয়া ইউনিয়নের ০৮নং চরকরন্জী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ জুলহাস (২৪) পিতা মোঃ কামাল ভান্ডারীর বিরুদ্ধে
এ্যডভোকেট রফিক সিকদার বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।যাহার মামলা নং জি আর ৬৫/২৪।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকার বিপ্লব মেম্বারের বাড়ির সামনে বহিরাগত কিছু লোকজন নিয়ে জুলহাস তার সাঙ্গ পাঙ্গো নিয়ে এ্যডভোকেট রফিক সিকদার ও তার
স্টাফ মোঃ নাঈম ও মোঃ হাসান কে পথরোধ করে ভয় ভীতি দেখিয়ে নগদ দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে,
দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে রফিক শিকদার এর ডিস লাইন ও ইন্টারনেট ও ল’ ব্যবসার ক্ষতি হবে বলে জানায়।
জুলহাসের এমন কথা শুনে এ্যাডভোকেট রফিক ক্ষিপ্ত হলে দুজনের মাঝে হাতাহাতি হয় একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে
থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা এবং কিছু প্রয়োজনীয় গ্রাহক কার্ড ও কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় জুলহাস।
এই ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে ও বিচারের দাবিতে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে রফিক সিকদার।
আদালতে মামলা হওয়ায় আসামি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ঈদের আগের দিন ১০ এপ্রিল রাতে কর্নকাঠি বাহেরচর রানিরহাট চরকারঞ্জি এলাকায় প্রায় ৮০০-৯০০ মিটার ডিস
ইন্টারনেট লাইনের তার ও সরঞ্জামাদি চুরি করে জুলহাস।
এতে ওই এলাকার ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিপাকে পড়ে প্রায় ৪০০-৫০০ গ্রাহক যাহা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অবগত আছেন।
তাৎক্ষণিক ৯৯৯ ফোন করলেও ঐদিন চাঁদ রাত হওয়ায় ৯৯৯ থেকে কোন সহযোগিতা পাননি বলে সাংবাদিকদের জানান অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার।
ভুক্তভোগী ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার অভিযোগ করে বলেন,চর আইচা নতুন কেবল ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম হাং (মন্টু)র’ ছত্র ছায়ায়
জুলহাস এরকম অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত আমাকে ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে দাবিকৃত ২ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় প্রায় ২ লাখ টাকার
ডিসের তার ও সরঞ্জামাদি চুরি করেছে মোঃ জুলহাস ও বহিরাগত চার পাঁচ জন।
তিনি আরো বলেন, আমি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ০৭নং চরকাউয়া ইউনিয়নের কর্নকাঠি বাহেরচর চরকারঞ্জি এলাকায় সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে সুনামের সঙ্গে ক্যাবল ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছি।
কিন্তু গত এক মাস ধরে মোঃ জুলহাস আমার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে।
চাঁদার টাকা না দেয়ায় আমার কর্মীদের বিভিন্ন সময় মারধর করেছে। আমাকে সহ কর্মীদের প্রাণনাশ ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া গত ১০ এপ্রিল চাঁদ রাতে আমার প্রায় ৮০০-৯০০ মিটার ডিস ইন্টারনেট সংযোগের তার কেটে নিয়ে গেছে তারা। এ পর্যন্ত ডিস সংযোগে ব্যবহৃত প্রায় ৩০টি নোড বক্স
ও ইন্টারনেট বিভিন্ন ডিভাইস খুলে নিয়ে গেছে। এতে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার। আমি আদালতে লিখিত অভিযোগ করার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জুলহাস ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা পলাতক আছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার এস আই আরিফুর রহমান বলেন, তদন্তে অভিযুক্ত জুলহাস এর জড়িত থাকার সত্যতা পেয়েছি,
আসামিকে গ্রেফতারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে শীঘ্রই চার্জশিট প্রতিবেদন দাখিল করব।
Leave a Reply