রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
সিকদার মাসুম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ বিনির্মাণের শ্রেষ্ঠ কারিগর, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, যারা নিজের জীবনকে বাজি রেখে বাংলাদেশ নামক একটি মানচিত্র উপহার দিয়েছেন, সেই মুক্তিযোদ্ধারাই যদি অশুভশক্তির কাছে হেরে যায় এটা সাধারন নাগরিক হিসেবে আমাদের কাছে লজ্জার।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং দাড়িয়াল ইউনিয়নের কামারখালী বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ মান্নান শিকদারের জমি দখল করে ভবন নির্মানের কাজ করছে একই এলাকার জাহাঙ্গীর হাওলাদার ছেলে কাউসার হাওলাদার।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়- দাড়িয়াল ইউনিয়নের কামারখালী বাজারের মধ্যে আব্দুর রশিদ হাওলাদারের দোকান ঘর সহ জমি খরিদ করেন একই ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ মান্নান শিকদার।
কিন্তু এই জমি নিয়ে পূর্বে থেকেই বিরোধ চলছিলো আপর এক খরিদদার জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে কাউসার হাওলাদারের সাথে।
স্থানীয় ভাবে শালিশি বৈঠক হলেও সুষ্ঠ সমাধান দিতে পারেননি কেহ।
যেই শালিশিতে উপস্থিত ছিলেন, দাড়িয়াল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই বাচ্চু হাওলাদার,
মোহাম্মদ ফারুক মুন্সী, ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম সহ অনেকে।
শালিশি গনের রায় অমিমাংশিত থাকায় জমির প্রকৃত মালিক(আগের)আব্দুর রশিদ হাওলাদার আদালতের শরণাপন্ন হন।
বিজ্ঞ আদালত ১৪৪/১৪৫ জারি করেন। এবং উভয় পক্ষকেই সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শান্ত থাকার অনুরোধ করেন।
কিন্তু গত ৬ ই মার্চ গভীর রাতে এক অশুভশক্তির ইন্দনে মহামান্য কোর্টের আদেশ অমান্য করে কাউসার হাওলাদার অধিক জনবল নিয়ে নির্মান কাজ শুরু করেন।
দ্রুত এই খবর মুক্তিযোদ্ধা মান্নান শিকদারের ছেলে সুলতান মাহমুদের কাছে গেলে মাহমুদ ৯৯৯ এ ফোন করলে সরশী পুলিশ ফাড়ি থেকে এ এস আই মহিউদ্দিন ফোর্স নিয়ে এসে চলমান কাজকে বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে সরশী পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সুশান্তর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,
আমি ঘটনা জানি, এবং যেখানে আদালতের ১৪৪ জারি আছে সেখানে কাউকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে দেওয়া হবেনা।
মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ মান্নান শিকদারের ছেলে মাহমুদ জানান, কাউসার হাওলাদার অধিক শ্রমিক নিয়ে নির্মান কাজ করার খবর পেয়ে ছুটে আসেন ঘটনা স্থলে।
মাহমুদ পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিলেও কাউসার হাওলাদারের অশুভশক্তির কাছে আতংকে আছেন বলে জানান।
বীর মুক্তিযুদ্ধের সোনার ছেলেদের ক্রয় কৃত জমি নিয়ে এমন দখল বানিজ্য বন্ধ্যের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
Leave a Reply