বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৯ অপরাহ্ন
ওসমান গনি, স্টাফ রিপোর্টারঃ মুন্সিগঞ্জ অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শিল্প, গণপূর্ত ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, গণহত্যার বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতা রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃত্ব দিয়েছে এবং গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের অবসান হয়েছে। যেন ফ্যাসিবাদ আবার কখনও ফেরত না আসে সেজন্য সংস্কারের চেষ্টা চলছে। আমাদের কাজটা হচ্ছে সংস্কারের কাজটা করা, যত দ্রততম সময়ে পারি।
শুক্রবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সফিউদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, একটা ফাউন্ডেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে ফাউন্ডেশন নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নিবে, আহতদের চিকিৎসা করবে এবং পরিবারগুলোর পুনর্বাসন করবে।
তিনি আরো বলেন, বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা শুনলেন যে চিকিৎসা হচ্ছে না। সারাদেশে কোন প্রতিষ্ঠান অক্ষত অবস্থায় নাই। ১৬ বছর ছিল ফ্যাসিবাদি শাসনব্যবস্থা। যেটা শাসক না, শাসন ব্যবস্থাটাই ছিল ফ্যাসিবাদি। আমরা চেষ্টা করছি-কঠিন কাজ। কিন্তু আমরা ছাত্র-জনতার অধিক্ষেত্রের উপর দাড়িয়ে কাজ করছি। আমরা সফল হবো এটা বিশ্বাস করি।
মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলান, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাছিরউদ্দিন জুয়েল, সহ-সভাপতি গোলজার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুজন হায়দার জনি, আইনজীবী আশরাফ-উল-ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক আহবায়ক মঞ্জুর মোর্শেদ, সাবেক সভাপতি আরিফ-উল-ইসলাম, মীর নাসির উদ্দিন উজ্জল, শহীদ-ই-হাসান তুহিন, সাবেক আহ্বায়ক আতিকুর রহমান টিপু, কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন সজল, আবু সাঈদ সোহান, তানভীর হাসান, সোনিয়া হাবিব লাবনী, ভবতোষ চৌধুরী নুপুর, ফয়সাল হোসেন প্রমুখ।
বক্তব্যে সাংবাদিকরা সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক-মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ করা, আইনের ৩৪ ধারা (পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার) বাতিল, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও নাগরিক সাংবাদিকতা বা অনলাইন গণমাধ্যমের স্বীকৃতির দাবি জানান।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৩ শ্রমিক শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার রিয়াজুল ফরাজী (৩৮), নুর মোহাম্মদ সর্দার ডিপজল (১৯) ও মো. সজলের (৩০) পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন শিল্প উপদেষ্টা।
এসময় নিহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে সরকারের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের পুনর্বাসন ও আর্থিক অনুদানের আশ্বাস দেন তিনি। পরে বেলা ১১ টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
বাংলাদেশ জনপদ
Leave a Reply