বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
সৈয়দ নাঈম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বরিশাল নগরীর পোর্টরোড সড়কে গড়ে উঠেছে অবৈধ বাজার। যানবাহনের বিশাল জটলা। মূল বাজার ছাড়িয়ে সড়কপথ যাতায়াতের রাস্তায় পসরা সাজিয়ে বসেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
এসব বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় বিক্রেতারাও দখল করে আছে অবৈধভাবে রাস্তা।
যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে পথচারীদের। অবৈধ বাজারের কারণে অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা।
বিক্ষুব্ধ কন্ঠে নগরবাসীরা জানান, ৫ বছর পরপর মেয়র, কাউন্সিলর আসে আবার যায় কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন নেই সড়কটির।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন নিত্যপণ্য নিয়ে রাস্তা দখল করে বসে আছে। এতে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
নাগরিকের ও যানবাহনের চলাচলে নানা বিড়ম্বনা হলেও নিরব ভূমিকা পালন করছে বরিশাল সিটি করপোরেশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সড়কটিতে সাজানো গুছানো অবস্থায় সবজি, মাছের পসরা রয়েছে। কেউ ভ্যানে করে, কেউ বা ঝুড়ি পাতিয়ে বসেছে রাস্তার উপরেই।
পলাশপুর এলাকা থেকে প্রতিদিন অফিসের কাজে আসেন ফেরদৌস হোসেন। কিন্তু প্রায় সময়মতো পৌঁছাতে পারিনা। সড়কের উপর অবৈধ বাজার উচ্ছেদ প্রয়োজন।
যানজট সবসময়ই লেগেই থাকে। ব্যাপারটা সত্যি ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক। এটার প্রতিকার হওয়া জরুরি।
একাধিক পদযাত্রীদের অভিযোগে সিটি করপোরেশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফলতির নজরদারি কথা উঠে এসেছে।
গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিকে অবৈধভাবে পার্কিং করে ট্রাকে মাল উঠানামা করছে। যার ফলে প্রায় রাস্তার অর্ধেক অংশই চলে যাচ্ছে তাদের দখলে।
ট্রাফিক পুলিশের তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা মিলছেনা। সরজমিনে আরও চিত্র ফুটে উঠেছে ভূমি অফিস থেকে শুরু করে নগরীর কশাইখানা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ট্রাকের মালামাল ওঠানামা প্রতিনিয়ত চলমান।
দক্ষিণ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় আড়তদারি এই পোর্ট রোড বাজার নামে পরিচিত। পন্য সামগ্রি মজুদদার ফল আড়ৎদারদের দাবী তারা রাস্তায় পার্কিং করছেনা।
এটা সম্পুর্ন বাজার কমিটির দায়িত্ব। শুধুমাত্র তরমুজ সিজন চলে তার জন্য এদিকসেদিক হচ্ছে ইট্টু।
সদর উপজেলার সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার লঞ্চঘাট মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে একাধিকবার অবহিত করলেও তার ফলাফল পাননি।
আরও বলেন, সরকারি অফিসের সামনেই অধিকাংশ সময়ই যানজট গেলেই থাকে। এ-থেকে নিস্তার চান এই সরকারি অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বসবাসরত ভুক্তভোগী দোকান ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দোকানের সামনে দীর্ঘসময় গাড়ী পার্কিং করে মালমাল ওঠানামা করার কারণে ক্রেতার সংকট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আমাদের ব্যবসায় পরিধি জনসম্মুখে আসছেনা। যার ফলে ক্ষতির সাধন হই আমরা।
দেখা যায় মালবাহী ভ্যান, মাছের পসরা, কেউ তো আবার ঝুড়ি পাতিয়ে বসেছে দোকানের সামনেই।
বিপাকে দিন কাটাচ্ছি। বাজার ইজারাদারের কোনো দায় ভারও দেখছিনা। এর থেকে নিস্তার নেই বললেই চলে।
পোর্ট রোড মৎস্য বাজার নেতা খান হাবিব জানান, যেহেতু এটা পোর্ট রোড বাজার এখানে যানজট থাকবেই। এখানে মালামাল ওঠানামা করবে এটাই স্বাভাবিক।
আমি ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছি, বাজার না বসলে টাকা পাবো কোথায়। তবে রাস্তা যানজট কমানোর জন্য ৪/৫ জন লোক রাখা হয়েছে বাজার কমিটির পক্ষে থেকে। স্থিতিশীল পরিবেশ হবে তরমুজের ১ মাস সিজন চলে গেলে।
ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা পোর্ট রোড বাজার এলাকায় অবৈধ পার্কিংয়ের সাথে যুক্তদের সনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
Leave a Reply