মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধিঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানে ঠিকাদারের কাছে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বুধবার দুপুরে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঠিকাদার।
মের্সাস মালাসি এন্টারপ্রাইজের সত্তাধীকারী ও বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান শাওনের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে,
তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলার রমজাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানের ঠিকাদার হিসেবে ভবন নির্মানের জায়গা নির্ধারনের জন্য স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা করেন।
কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যরা রেজুলেশন করে স্থান নির্ধারনের পর গাছ কাটার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
অভিযোগে আরও জানা গেছে বাবুগঞ্জ উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম স্কুলের ভবন নির্মাণের জন্য তার (ঠিকাদার) কাছে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
তার দাবিকৃত টাকা না দিলে স্কুলের ভবন নির্মান করতে দিবেন না বলেও হুমকি প্রদর্শন করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ঘুষের টাকা না পেয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক সহকারি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম নানা অজুহাতে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বাবুগঞ্জ
উপজেলা প্রকৌশলীকে দিয়ে ভবন নির্মানের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার জন্য পত্র প্রেরণ করিয়েছেন।
ঠিকাদার আশিকুর রহমান শাওন তার লিখিত অভিযোগের তদন্ত করে অভিযুক্ত সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা
মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ ভবন নির্মানের কাজ শুরু করার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ঠিকাদারের দায়ের করা অভিযোগের অনুলিপি বরিশাল জেলা প্রশাসক,
বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরেও জমা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রমজাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিয়াউদ্দিন মনির বলেন,
ঠিকাদারকে ভবন নির্মানের জন্য আমরা স্থান নির্ধারন করে দিয়েছি।
কিন্তু সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম খামখেয়ালী করে ঠিকাদারের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে ভবন নির্মানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।
অভিযুক্ত বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম ঘুষ দাবির অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে বলেন,
সরকারি নিয়মের বাহিরে গিয়ে ভবন নির্মান না করতে ঠিকাদারকে নিষেধ করা হয়েছিলো।
পরবর্তীতে কি হয়েছে তা উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।
Leave a Reply