সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশাল নগরীর কাশিপুরের দারসুল কুরআন একাডিমির পরিচালক মুবিনুল ইসলামকে পরস্ত্রী সহ আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেছে স্বামী ও স্থানীয়রা।
পরে তাদের এয়াপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার বাসিন্দা হেপি টাইলসের মালিক মোঃ খোকনের স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিনের পরকিয়া সম্পর্ক চলে আসছে কাশিপুরের দারসুল কুরআন একাডিমির পরিচালক মুমিনুল ইসলামের সাথে।
এ নিয়ে বিগত দিনে খোকনের সাথে তার স্ত্রীর অনেক বাকবিতন্ডা হয়। এর পরেও খোকনের স্ত্রী মুমিনুলেরে সাথে পরকিয়া সর্ম্পক আরো গভির হয়। ঘটানার দিন গতকাল খোকনের স্ত্রী বাসা থেকে মুবিনুলের জন্য মাংশ, পোলাও রান্না করে নিয়ে আসে। এসময় খোকনের সন্দেহ হলে স্ত্রী পিছু নেয়।
পরে খোকনের স্ত্রী মুবিনুলের সোবার কক্ষে প্রবেশ করতে দেখে বাহির থেকে আটকিয়ে স্ত্রীর আত্মীয় স্বজদের খবর দেয়। পরে সবাই এসে মোমেনুল ও তার স্ত্রীকে এক কক্ষ থেকে বের করে। খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানার কয়েক জন এস আই ও অফিসার ইনচার্জ লোকমান হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
পরে তাদের সবাইকে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে খোকন বলেন, তার স্ত্রীর সাথে দীর্ঘ দিন যাবত মুবিনুলের সম্পর্ক চলে আসছে। আমার স্ত্রীকে এ পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক চেষ্টা করি।
এ নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক জগড়াও হয়েছে। আমাদের সন্তানেরা সবাই বড় হয়েছে। তাই সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হবো দেখে এতদিন আমি কোন মামলা করিনাই।
স্থাণীয় সূত্রে জানাগেছে, এর আগেও মুবিনুল অপরএকটি মেয়েকে ধর্ষন করে। সে ঘটনায় ওই মেয়ে তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা করে। সে মামলায় মুবিনুল প্রয় তিনমাস জেলে ছিলেন। এমনকি মুবিনুল তিন বছর আগে মাদ্রাসার এক ছাত্রকে পিটিয়ে একটি হাত ভেঙ্গে দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থাণীয় একধিক সূত্র থেকে জানাগেছে মাদ্রসার পরিচালক মুবিনুলের এ সকল অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে ওই মাদ্রাসার ভবন মলিকও জরিত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সজল জানান, এই মাদ্রাসার পরিচালকের নামে এর আগেও অনেক অভিযোগ শুনেছি।
আমরা মাদ্রাসার ভবন মালিক শিবলিকে অন্য পরিচালক দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করতে বলেছি। কিন্তু তিনি ক্ষমতা দেখিয়ে মুবিনুলকে দিয়েই মাদ্রাসা পরিচালনা করাবেন। তাই আমরা এ বিষয়ে তাকে আর কিছু বলি নাই। খোকনের শাশুরী বলেন, আমার মেয়েকে অনেক বুঝিয়েছি মুবিনুলের সাথে সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে। কিন্তু সে আমাদের কোন কথা শোনেনা। এ বিষয়ে এয়াপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থল থেকে মাদ্রাসার পরিচালক মুবিনুল ও খোকনের স্ত্রীসহ উপস্থিত তাদের আত্মীয়-স্বজনদের থানায় নিয়ে আসি। কিন্তু খোকন বাদী হয়ে মামলা করতে রাজি না হওয়ায় লিখিত রেখে খোকনের জিম্মায় তার স্ত্রীকে দিয়ে দেই এবং মুবিনুল খোকনের ছেলের বন্ধু হওয়ায় তার জিম্মায় মোমিনুলকে দিয়ে দেই।
বাংলাদেশ জনপদ
Leave a Reply