রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
হিজলা প্রতিনিধি:: বরিশালের হিজলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সংবাদিকসহ উভয়পক্ষের ৭ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেবাচিম প্রেরণ করা হয়।
আহতরা হলেন- সালাউদ্দিন সিকদারের ছেলে মাসুদ সিকদার (২৪), জাহাঙ্গীর দর্জির ছেলে আনিচ (৩০), এনায়েত হোসেন হাওলাদারের ছেলে আম্মান হাওলাদার (২৬), বরকত সিকদার (৩২), মৃত আবদুর রহমান হাওলাদারের ছেলে আলমগীর হাওলাদার (৫৫), সোলাইমান হাওলাদার (৫০) এবং আলমগীর হাওলাদারের ছেলে সোয়েব হাওলাদার (১৮)।
জানা যায়, স্থানীয় এমপি পংকজ নাথ অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার এবং সাম্মী আহমেদের অনুসারী হিরণ হাওলাদারের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার বেলা অনুমানিক ১২ টার সময় উপজেলা রেমিডি মেডিকেল সার্ভিসের ভিতরে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
হামলার শিকার মাসুদ সিকদার জানান, রেমিডি মেডিকেল সার্ভিসে এক রোগীকে রক্তদান করার অবস্থায় আলমগীর হাওলাদার তার ভাই সোলাইমান হাওলাদারসহ কয়েকজন আমার ওপর হামলা চালায়। তখন এ সংবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদারের ছেলে আম্মান লোকজন নিয়ে আসলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতালের চিকিৎসাধীন জান্নাতের বাবা বেলায়েত চৌকিদার জানান, মাসুদ সিকদার তার মেয়ের রক্ত দেওয়া অবস্থায় ৫/৬ জন লোক এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। তখন তিনি তার এলাকার ইউপি সদস্য রুমা বেগমকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার জানান, গত সোমবার হিজলা সরকারী কলেজে বরজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিরন হাওলাদারের সাথে আমার লোকজনের বাকবিতন্ড হয়। তখন তারা হামলা করতে না পেরে আজকে এ হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে বরজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিরন হাওলাদার জানান, কলেজে এনায়েত হাওলাদারের লোকজন আমাদের অপমান করে। আজকের হামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। ঘটনা শুনে হাসপাতালে এসে দেখেন দুই ভাই ও ভাতিজা গুরুতর আহত।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুবাইর জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ সংবাদ শুনে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।’
Leave a Reply