মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বাবুগঞ্জে পালাক্রমে শিশু ধর্ষন অতপর থানায় মামলা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া প্রধান সড়কের পাশে সরকারি জায়গা দখল, এলাকা বাসীর মাঝে উত্তেজনা আশুলিয়া যৌথ বাহিনীর অভিযানে জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিবসহ আটক ৮ রাজাপুরে জমি জমা বিরোধে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখমের অভিযোগ গণঅধিকার পরিষদ গনমানুষের অধিকার আদায়ের দল গৌরনদীতে -ভিপি নুর উজিরপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত  উজিরপুরে জোড়া খু*নের ঘটনায় প্রধান আসা*মী কিবরিয়া র‍্যাব এর হাতে গ্রেফ*তার  পটুয়াখালীর বাউফলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে মারামারি নলছিটির দপদপিয়ায় বিএনপি নেতা রিমনের চাদাঁবাজী-দখল বানিজ্যে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষ উজিরপুর ব্লাড ডোনেট ক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি ইসমাইল, সম্পাদক জহিরুল
বরিশালে জালিয়াতি করে শশুরবাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে জামাইর বিরুদ্ধে আমেরিকা যাওয়ার অভিযোগ

বরিশালে জালিয়াতি করে শশুরবাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে জামাইর বিরুদ্ধে আমেরিকা যাওয়ার অভিযোগ

বাংলাদেশ জনপদ ডেস্কঃ বরিশাল নগরীর ১০নং ওয়ার্ড আমবাগান এলাকায় জালিয়াতি করে শশুড় বাড়ীর ৪তলা ভবন ও জমি বিক্রি করে জামাই আমেরিকা চলে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমবাগান এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম ঝন্টু ২০১৬ সালে অসুস্থ থাকাকালীন সময় তাকে প্রতি মাসে চিকিৎসা করাতে ঢাকায় নিয়ে যেতেন তার স্ত্রী জিন্নাতুন নেছা ও বড় ছেলে তৌহিদুল ইসলাম।

সেই সুবাধে ঝন্টু মিয়াকে রেখে আসতেন অভিযুক্ত মেয়ে দিলরুবা ও তার স্বামী হাফিজুল ইসলাম এর কাছে।

 

পরে জামাইর কু-পরামর্শে লোভে পড়ে পিতার অসুস্থতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে মেয়ে দিলরুবা ইসলাম পিতা মফিজুল ইসলাম ঝন্টুকে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে।

মানসিক ভাবে চাপ দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভুল বুজিয়ে তার পুরো সম্পত্তি লিখে নেয়।

এর বহুদিন পর বিষয়টি জিন্নাতুল নেছা জানতে পেরে বড় ছেলে তৌহিদুল ইসলামকে অবগত করেন।

অপরদিকে জিন্নাতুল নেছা বলেন, আমি যখন জানতে পারি পুরো বিষয় আমি আমার স্বামী ঝন্টু মিয়াকে জিজ্ঞাসা করিলে।

তিনি জানায় আমাকে মেয়ে ও তার স্বামী হাফিজুল মানসিক ভাবে চাপ দিয়ে আমার অসুস্থতা কাজে লাগিয়ে জোড় করে পুরো সম্পত্তি লিখে নেয়।

পরে আমরা বরিশালের বাসায় এসে এ্যাড: তপন চক্রবর্তীকে জানালে তিনি বরিশালে বিজ্ঞ আদালতে মফিজুল ইসলাম ঝন্টু ও আমাকে বাদী করে জমি জালিয়াতি ও প্রতারনা মামলা দায়ের করেন।

কিন্তু নিজেদের মামলা থেকে বাঁচাতে জামাই ও মেয়ে মিলে অসুস্থ মফিজুল ইসলাম ঝন্টু মিয়াকে বিভিন্ন সময় মামলা উঠাতে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। পরে আমরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পুরো বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে দেই।

পরর্বতীতে মামলায় ফেঁসে যাওয়ার বিষয় ও প্রতারনা প্রমান হবে এমন ধারনা করে মামলা থেকে রেহাই পেতে আমার কাছে দিলরুবা ইসলাম এসে ক্ষমা চায়।

আমি দিলরুবাকে প্রতারনা কেন করেছে বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান

তার স্বামী জালিয়াতি করে এক লোকের কাছে জমি বিক্রি করেছে। সেই লোকের কাছ থেকে ২০লক্ষ টাকা এনেছিলো। পরর্বতীতে টাকা না দেয়ায় ওই ব্যক্তি আদালতে মামলা করে।

আদালত মামলাটি পিবিআইকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নিদেশ দেন। এছাড়াও পিবিআই তাদের প্রতারনায় সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইসু করেন আদালত।পরে তাদের আটক করতে ঢাকার বাসায় পুলিশ হানা দেয়।

পরে আমি ছেলে তৌহিদুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে তৌহিদুল ওর বোন ও তার জামাইকে সাথে নিয়ে নিজের নামে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট ২০ লক্ষ টাকা বোনকে দিয়ে ও পিবিআই অফিসে গিয়ে মামলার সমাধান করে দেয়।

এদিকে জিন্নাতুল নেছা আরো বলেন, আমার মেয়ে দিলরুবার কাছে একটি প্রশ্ন? তোমাকে ঢাকায় নয়াপল্টনে একটি ফ্ল্যাট, ২০১১সাল থেকে ২০১৭ সাল পযর্ন্ত প্রতি মাসে ৩০হাজার টাকা করে দিয়েছি এছাড়াও ছেলে তৌহিদুলের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৬০হাজার ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিয়েছি, জমি ৭শতাংশ যাহার বাজার মূল্য ২কোটি ১০লক্ষ টাকা,রুবা এন্টারপ্রাইজ থেকে প্রতি মাসে ৬০হাজার টাকা করে দিয়েছি।

তারপরও কেন তুমি ভাইর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সম্পত্তি লিখে নিলা। এখন তুমি আমাকে এই বয়সে আদালতে যেতে বাধ্য করেছো কেন?? তুমি তো আমার সন্তান।

আমাদের পরিবারের যুগ যুগ বছর ধরে যে সম্মান অর্জন করেছি। সেটা মাঠিতে মিশিয়ে দিচ্ছো। আর তোমার সব চাওয়া পাওয়া সব পূরন করেছো! মা ভাইর কথা চিন্তাও করো নাই। আমি এবিষয়ে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করবো।

তবে এবিষয় অভিযুক্ত হাফিজুল ইসলামের সাথে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নাম্বারে যোগাযোগ পাওয়া যায় নাই।

অপরদিকে তৌহিদুল ইসলাম জানান, আমার পরিবার রাজনৈতিক পরিবার। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমরা সমাজে সম্মান ও সুনাম নিয়ে চলি। আমাদের পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে এমন হবে সমাজের সম্মান ক্ষুন্ন হবে সেটা আমরা কখনই ভাবি নাই।

সংবাদ টি ভালোলাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Categories