রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
বাবুগঞ্জে বিদ্যালয় নিয়ে টানাহেঁচড়ায় শিক্ষার্থীর জীবন বিপন্ন। ও সংঘাতের আসংখ্যা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ৮১ বছর পূর্বে স্থাপিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানের কাজ শুরুর পর রহস্যজনক কারণে স্থান পরিবর্তন করার ষড়যন্ত্রকে ঘিরে স্হানিয় স্বপন ওরফে ভাগিনা স্বপন নতুন ভবনের পক্ষ নিয়ে দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টিতে কঠিন ভূমিকায় লিপ্ত হন ।
এ নিয়ে ১৬ মে বৃহস্পতিবার দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের সম্ভবনায় সংকিত ছিল এলাকার শতশত পরিবারের লোকজন। এমনটি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
অপর দিাকে ১৫ মে বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পুরান বিদ্যালয়ের ভবনটি তালাবদ্ধ অবস্থায় শতাধিক ছাত্র ছাত্রী সহ তাদের অভিভাবকদের দাড়িয়ে থেকে বিক্ষোবে ফেটে পরার দৃশ্য দেখো গেছে।
তাদের এহেন পরিনতির কথা জানতে চাইলে অনেকের মধ্যে স্হানীয় সৈয়দ মোঃ কাওছার হোসেনে বলেন, ভবনটি নিয়ে দু- গ্রুপের মধ্যে টানাহেঁচড়ায় এখানের কয়েকশত শিক্ষার্থীর জীবন বিপন্ন প্রায়।
হটাৎ এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৃপ্তি রানী চন্দ্র গ্রুপিংয়ের রোষানলে জড়িয়ে পরে ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রচন্ড তাপতাদাহে নুতন টিন সেট ভবনে তার শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস চালু করেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে ১৫ মে বুধবার নুতন ভবনে গিয়ে দেখা যায় জরাজীর্ণ অবস্থায় প্রচুর তাপদাহে ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী বাহিরে ঘোরাফেরা করছেন। এ বিষয় প্রধান শিক্ষীকা তৃপ্তি রানির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশে বলে নুতন ভবনে এসেছেন বলে একটি চিঠি ধরিয়ে দেন।
আসলে ওই চিঠিতে নুতন জায়গায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কথা কোথাও উল্লেখ নাই। এ ছাড়াও তিনি ছাত্র অভিভাবকদের সাথেও কোন পরামর্শ ছাড়াই নিজ খেয়াল খুশিমত ওখানে এসে ১০/ ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যা শিক্ষা দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষিকা তৃপ্তি রানী এমনটি জানিয়েছেন স্কুল ছাত্র অভিভাবক সদস্যরা।
এ বিষয় বাবুগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মোঃ রোমান্স আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে নুতন স্কুলে যেতে আমি কোন চিঠি দেই নাই। এবং এ বিষয় আমার জানা নাই। তবে উর্ধতন কর্তৃ পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সকল কিছুর ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অপর দিকে সংবাদ কর্মী পদার্পনে স্হানীয় মদদ দাতা স্বপন ভাগিনা স্বপন গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক ১১-৩০ মিঃ সংবাদ কর্মিকে মুঠোফোনে জীবন নাষের হুমকি দিয়ে বলেন কোন পেপার পত্রিকা এমনকি ফেইস বুকেও স্কুলের বিষয় নিয়ে লেখালেখি করা হলে জীবন বিপন্ন করা হবে বলেও হুমকি দেন
সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৯৪৩ সালে ১নং রমজানকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে স্থাপিত হয়। ৩০ বছর পূর্বে ১৯৯৪ সালে স্কুলর ভবন পূনঃনির্মান করা হয়েছে।
শুরু থেকে অদ্যবর্ধি স্কুলটি সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছ ৮১ বছরের পুরনো এ স্কুল ভবনটি গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার পক্ষে ও বিপক্ষে দুইগ্রুপ অবস্থান করায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরেছে। এনিয়ে যেকোন সময় দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সচেতন এলাকাবাসী।
Leave a Reply